সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’জ’কের সা’প লু’ডো খে’লা পু’রা’ণে খেল’তেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর! জা’নু’ন সেই র’হ’স্য

আজকের সাপ লুডো খেলা পুরাণে খেলতেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর! জানুন সেই রহস্য

সাপ-লুডো খেলার কথা তো আমরা সবাই জানি। প্রাচীন ভারতেই এই খেলার উৎপত্তি। পুরনো নাম মোক্ষ পটম্‌। আজকে একে নেহাত ছেলেখেলা মনে হয় বটে, কিন্তু এই নাম থেকেই আন্দাজ করা চলে, হিন্দু দর্শনের সঙ্গে রীতিমতো যোগ রয়েছে এই খেলাটির। কর্ম আর কাম, অর্থাৎ ডেস্টিনি আর ডিজায়ারের যে লড়াই মানুষের জীবনে চলে, এই খেলার মধ্যে দিয়ে সে কথাই বলা হয়েছে।

ভাল-খারাপের দ্বন্দ্ব হিসেবেও দেখতে পারেন। সুতরাং, এহেন নীতিকথার সঙ্গে দেবতাদের যোগাযোগ থাকা খুবই স্বাভাবিক।

বিধাতাও সাপ লুডো খেলেন। তাও একা একা নয়। তিন বিধাতা একসঙ্গে। হিন্দু ধর্মে যে তিন দেবতাকে দেবসভায় সবার ওপরে স্থান দেওয়া হয়, বলছি তাঁদের কথাই। অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর।

আজকের সাপ লুডো খেলার বোর্ড দেখলে অবশ্য সে কথা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু দীপক সিংখাদা নামের এক গবেষক হাতে পেয়েছিলেন অনেক দিনের পুরনো একটা বোর্ড। তিনি প্রথমে আদৌ বুঝতেও পারেননি যে জিনিসটা আদতে কী। শিকাগোর ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে বসে দিব্যি একটা তালিকা বানাচ্ছিলেন, নেপাল আর তিব্বতের ছবির সংগ্রহ দেখে দেখে। সেইসব ছবির ভিড়েই দেখা গেল একটি নামহীন ছবি কীভাবে যেন এসে পড়েছে। ছবিটা বেশ পুরনো, বলাই বাহুল্য।

আর কেমন যেন অদ্ভুতও। মনে হচ্ছে ধর্মের সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে ছবিটির। কারণ ছবিতে সগৌরবে উপস্থিত ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। যেহেতু জাদুঘরের রেজিস্টারে এর কোনও এন্ট্রিই নেই, বোঝাও যাচ্ছে না ছবিটার উৎস কী। গবেষক ভদ্রলোক অবশ্য সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না। খুঁজতে খুঁজতে তিনি জানতে পারলেন, নেপালের ন্যাশনাল মিউজিয়ামে রয়েছে এই ছবিটির।