সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

একে বলে রিভেঞ্জ! ভু’য়ো সেনাকর্তার ফাঁ’দে পা প্রেমিকার, এবার ভু’য়ো প্রেমিকার ফাঁ’দে প্রাক্তণ স্বামী

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে অনেক অজানা ঘটনাকে জানা সম্ভব হলেও অনেক সময় এই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই অনেক মানুষ প্রতারিত হন। এরকমই এক ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়ার পর সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত এগিয়েছিল এই যুগলের। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন প্রেমিক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন জানার সাথে সাথেই বিয়ে ভেঙে দেন মহিলা। তার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ-পাঁচটা বছর। কিন্তু মনের প্রতিশোধের আগুন নেভেনি তার। তাই এতগুলো বছর কেটে গেলেও প্রাক্তন প্রেমিকেরই কায়দায় ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁকে জেলের গারদে ঢোকালেন সেই প্রেমিকা! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।

প্রেমিকের বাড়ি অসমে। প্রেমিকা থাকতেন বালুরঘাটে। ফেসবুকে নিজেকে সেনা অফিসারের পরিচয় দিয়ে বালুরঘাটের ওই যুবতীকে বিয়ে করেন অসমের দীপক শর্মা। কিন্তু বিয়ের পরে বরের আসল পরিচয় জানার পর সেই মহিলা ডিভোর্স দিয়ে দেন। তারপর চলে আসেন বালুরঘাটে বাপের বাড়িতে। এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও প্রতারণার কথা ভুলতে পারেননি সেই মহিলা। প্রতিশোধ নিতে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে বিয়ের টোপ দিয়ে বালুরঘাটে ডেকে আনেন সেই প্রাক্তন স্বামীকে। এর পর পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁকে। সোমবার বালুরঘাট থানার পুলিশ ওই যুবককে আদালতে তুললে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসামের ওই যুবকের সঙ্গে ২০১৭ সালে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় বালুরঘাটের এক যুবতীর। সেনা কর্মীর পরিচয় দিয়ে ওই যুবতীকে বিয়ে করেন দীপক। এদিকে বিয়ের কিছু দিন পর ওই মহিলা জানতে পারেন, এর আগেও সেনা অফিসারের মিথ্যা পরিচয়েই আরও দুটি বিয়ে করেছিলেন দীপক। এর পর ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন এই মহিলা। এবার পাঁচ বছর পর ওই যুবতী ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অন্য মেয়ে সেজে বিয়ের টোপ দিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে ডেকে আনেন বালুরঘাটে। আর তারপর তাঁকে তুলে দেন পুলিশের হাতে। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে।

যুবতীর অভিযোগ, “এর আগে মালদহ, জলপাইগুড়িতে আরও দুটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন দীপক। কিছুদিন তিনি পঞ্জাব ও হরিয়ানাতে ছিলেন। বিয়ের পরে জানতে পারি যে ও একজন প্রতারক। দীপকের এই বিয়ে করার লক্ষ্যই ছিল টাকা আদায় করা। তাই ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই ওকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিই। আমি চাই দীপকের কঠোর শাস্তি হোক।”