সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বহুদিন ধরে কারণে-অকারণে পার্টনার মি’ল’নে বা’ধা দিলে তা মা’ন’সিক হিং’সা: আদালত

১৯৭৯ সালের সমস্যা অবশেষে ২০২৩ সালে এসে পরিণতি পেল। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের এক বাসিন্দার, যিনি ন্যায় বিচারের আশায় নিম্ন আদালতে গেলেও সেখানে আশাহত হন। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি পুনরায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবারই সেই মামলার শুনানি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সুনিত কুমার ও চতুর্থ রাজেন্দ্র কুমারের বেঞ্চ।

কি সেই মামলা এবং শুনানি বা কি হলো তা নিয়ে জানবো। উত্তরপ্রদেশের ঐ যুবকের নাবালক অবস্থায় বিয়ে হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ১৯৮৬ সালে শ্বশুরবাড়িতে আসেন কিন্তু তিনি নিজের স্বামীকে স্বামী বলে মন থেকে গ্রহণ করেননি।

এমনকি তাদের মধ্যে কোন শা’রী’রি’ক সম্পর্ক তৈরি হয়নি বলে দাবি করেন ঐ যুবক। অনেক বোঝানো সত্ত্বেও স্ত্রী কোনোভাবেই তাঁকে মেনে নেননি। এমনকি স্ত্রীর দায়িত্ব পালনেও ব্যর্থ ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান ১৯৯৪ সালে।

পরবর্তিকালে পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে দু পক্ষেরই সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়। স্ত্রী ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২২ হাজার টাকা দাবিও করেন। পরবর্তীকালে তাঁর স্ত্রী অন্যত্র বিয়েও করে নেন। এমতাবস্থায় ওই যুবক বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন নিয়ে দারস্ত হয়েছিলেন নিম্ন আদালতে কিন্তু তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেননি যে কারণে ওই যুবক থেমে না থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের মামলা দায়ের করে।

শেষ পর্যন্ত এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেন নিম্ন আদালতের রায় হাইপারটেকনিক্যাল। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী আলাদা রয়েছেন। এমনকি ওই যুবকের স্ত্রীর দাম্পত্য জীবন নিয়ে কোন সম্মানও দেননি, তাই এই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকার কোন বাধ্যবাধকতাই নেই বলে তাঁরা মনে করেন।

এছাড়াও দীর্ঘদিন যৌ’ন’তা থেকে বঞ্চিত করে রাখাও সঙ্গীকে মানসিক অত্যাচার করার সমান বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাইকোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের এহেন রায় কিছুটা স্বস্তিতে ওই যুবক। অবশেষে তিনি এই বিবাহ নামক কারাগার থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন।