সাপ ব্যাঙ,বাদুড়, ইত্যাদি প্রাণী খেতে অভ্যস্ত থাকে চীনারা। অদ্ভুত অদ্ভুত বন্যপ্রাণী ভক্ষণ করে বলে তাদের বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হয়। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও তারা বিভিন্ন প্রাণীকে ব্যবহার করেন এবং বিভিন্ন অদ্ভুত রীতি নীতি অবলম্বন করেন। এরকম ই একটি লোকায়ত চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করে কোষ্ঠকাঠিন্য সরাতে গিয়ে পূর্ব চীনের এক ব্যক্তি তার পায়ু ছিদ্র দিয়ে কুড়ি সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি জ্যান্ত ইল মাছ ঢুকিয়ে দিলেন নিজের শরীরের মধ্যে।
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মাছটি মলাশয় প্রবেশ করিয়ে তিনি আরাম ত পাননি, উল্টে মাছটি সোজাসুজি তার অগ্নাশয় চলে যায়। তারপর অগ্নাশয়তে একটি গর্ত করে ব্যক্তির পেটে প্রবেশ করে এই মাছটি। প্রথমে লজ্জায় তিনি কাউকে বলতে পারেননি গোটা ঘটনাটি।
এরপর চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয় যখন অসহ্য পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। ডাক্তার অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে উদ্ধার করে গোটা মাছটিকে। আশ্চর্যজনকভাবে পেট থেকে মাছটিকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন মাছটি জীবিত ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশি দেরি করলে হয়তো রোগীর প্রাণ সংশয় হতে পারত।
অতি প্রাচীন কালে পায়ু ছিদ্র দিয়ে ইল মাছ ঢুকিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু এটি করে খুব একটা উপকার পাওয়া যেত না। এর আগেও এক ব্যক্তি একই ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু এই কার্য করে তারও প্রাণ সংশয় হয়েছিল। সেবারেও অস্ত্রোপচার করে গোটা মাছটিকে পেট থেকে বার করে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসকরা।