সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

উত্তরপ্রদেশে মহিলাকে হেনস্থা বিজেপি কর্মীর, বুলডোজার চা’লা’লো স্থা’নী’য় প্রশাসন

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ‘ বুলডোজার নীতি’ নতুন কিছু নয়। সোমবার সেই নীতির সন্মুখিন হলো এক বিজেপি কর্মী। বিজেপি কর্মীটির নাম শ্রীকান্ত ত্যাগী। তিনি নয়ডার গ্র্যান্ড ওমাক্সে অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা। জানা গেছে, সেই ব্যাক্তি তারই আবাসনের এক প্রতিবেশী মহিলার সাথে খারাপ ব্যাবহার করেন।

তাঁর চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলেন। শুধু তাই নয়, শারিরীক নিগ্রহ করেন বলেও জানা যায়। আর সেই অপরাধের শাস্তি দিতেই তৎপর হলো উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় প্রশাসন। নয়ডার ওই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে আবাসিকের ভিতর দখল ও নির্মাণ করার অভিযোগ তুলেছেন আবাসিকরা।

শুক্রবার সেই নিয়েই বচসা শুরু হয় আবাসিকদের মধ্যে। সেখানেই এক মহিলার সাথে ঝামেলা শুরু হলে সেই মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। এরপরে তাকে স্থানীয় পুলিশে তাঁর উপর গ্যাংস্টার আইনে অভিযোগ দায়ের করে। এই আইনে প্রসাশন চাইলে অভিযুক্তের বাড়িও ভেঙে দিতে পারে।

আরো পড়ুন: প্রেমিক অফ দ্যা ইয়ার স’ন্মা’ন! ডে’টে গিয়ে প্রেমিকার উকুন মারছেন এই যুবক

ঘটেও সেটাই, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওই বিজেপি কর্মীর সম্পত্তি। আর এই ঘটনা জুড়ে বিরোধীরা নানা রকম মন্তব্য করতে শুরু করেন। তাদের বক্তব্য, হাথরস, উন্নাও অথবা গোরক্ষপুর একের পর এক ধর্ষনের ঘটনায় কেনো ছাড় পেয়ে গেলো দোষীরা? যেখানে স্বয়ং উন্নওয়ের বিজেপি বিধায়কের নাম ছিল মূল অভিযুক্ত হিসেবে।

এমনকি হাথরসের ঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারকেই চোখ রাঙানোর অভিযোগ উঠেছিল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই। সেখানে এই তৎপরতা, এই বুলডোজার নীতি কোথায় গেলো? বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। গত মার্চে দ্বিতীয়বার যোগী সরকার আবার ক্ষমতায় আসেন তখনই তাদের সমর্থকরা যোগী সরকারের এই বুলডোজার নীতিকে ‘ বুলডোজারওয়ালা ‘ নাম দেন।

পাশাপাশি বিরোধীরাও ‘ বুলডোজারওয়ালা ‘ বলে ব্যাঙ্গ করতে ছাড়েন না। তাঁরা এও বলেন যে – এই সরকার নিজের অপছন্দের তালিকা ছোট করতে বুলডোজার ব্যবহার করছেন।এদিকে এই বুলডোজার নীতিকেই বিজেপি সমর্থকরা নাকি ‘ দুষ্টের দমন ‘ বলে প্রচার করে করেন।