দূষণে ভরে গিয়েছে মহানগরী। তিলোত্তমা কলকাতার প্রতি পরতে পরতে এখন শুধুই কালো ধোঁয়া! বায়ু দূষণে জর্জরিত শহর কলকাতা। কাল ধোঁয়া জমাট বেঁধে আকাশে মেঘের মতো ঘনঘটা তৈরি করেছে। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকাতা পুরসভার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। পুর প্রশাসনের তরফ থেকে এর আগে প্রকাশ্যে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলা কিংবা ফুটপাতে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করার উপর নিয়ন্ত্রণ এবং বিধি-নিষেধ আনা হয়েছিল।
যদিও পুরসভার বিধি-নিষেধ মানতে রাজি নন কলকাতার বাসিন্দারা। এর ফলে বায়ু দূষণ আজ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। বৃক্ষচ্ছেদন এবং অবৈধ ট্যানারির প্রভাবে কলকাতার দূষণ আরো বাড়ছে। কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সম্প্রতি পুরসভার তরফ থেকে একটি অধিবেশনের আয়োজন করেছিলেন এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে।
বৈঠকে শেষে জানানো হয় কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলররা নিজে নিজে ওয়ার্ডে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হলে তবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফিরহাদ হাকিম এই ব্যাপারে কাউন্সিলরদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য তাদের পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন।
তবে কলকাতা পুরসভা বিষয়টিকে নিয়ে গুরুত্ব দিলেও বিষয়টি কত দূর প্রাধান্য পাবে সেই নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের একাংশের বক্তব্য কাউন্সিলরদের হাতে এত ক্ষমতা নেই যে তারা নিজের নিজের ওয়ার্ডে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন। শুধু বৃক্ষ রোপন করলেই বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না।
আরো পড়ুন: একটি কুকুর দত্তক নিয়েছিলেন রতন টাটা, তাকে মিটিংয়েও নি’য়ে যা’ন তিনি! কিন্তু কেন?
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, কলকাতাতে পুরনো গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে শহরের পূর্ব অংশে অবৈধ ট্যানারি এবং খাটাল বেড়ে চলেছে। কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমানে সারা পৃথিবীর নিরিখে প্রথম 10 বিষাক্ত বাতাসপূর্ণ শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা। উল্লেখ্য এই তালিকাতে কলকাতা ছাড়াও দিল্লি এবং মুম্বাই রয়েছে।