আপনি এই দেশের বেশ কিছু জায়গায় ভারতের বাসিন্দা হয়েও যেতে পারবেন না।আসলে আপনার শুনতে অবাক লাগলেও; বাস্তবে দেশে এমনই কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে ভারতীয়দের ঘোরাফেরার অনুমতি নেই। নিরাপত্তা এবং বিতর্কিত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সেখানে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আপনি সেখানে যেতে না পারলেও, জেনে নিন সেইসকল জায়গার নাম-
উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপঃ এই দ্বীপ আন্দামান সাগরের গভীরতায় টেকটনিক প্লেটের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এই দ্বীপ আন্দামান- পোর্ট ব্লেয়ার থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে রয়েছে। এখানে প্রায় ৪০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন, যারা কিনা এখনও অবধি জানেন না চাষাবাদ, জানেন না আগুনের ব্যবহারও। ৬০ হাজার বছর ধরে এই এই উপজাতিরা মানুষেরা এখানেই থাকেন। সেই কারণে ওই দ্বীপ এবং তার চারপাশে ৩ নটিক্যাল মাইল অবধি সাধারণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
বিএআরসিঃ বিএআরসি অর্থাৎ ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ভারতের প্রধান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র মুম্বইয়ের একটি শহরতলিতে অবস্থিত। ভাবা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ভারতের প্রধান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র। এই গবেষণা কেন্দ্রের নিরাপত্তার কারণেই এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ।
প্যাংগং তসোঃ লাদাখের প্যাংগং তসো একটি বড় অংশ হ্রদ দ্বারা বেষ্টিত একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র। এই হ্রদের প্রায় ৫০ শতাংশ বিতর্কিত এলাকার মধ্যে পড়ে। কিছুটা অংশ চীনের মধ্যে পড়ার কারণে শুধুমাত্র ভারতের অংশটুকু ভ্রমণ করতে পারেন ভারতীয়রা।
ব্যারেন দ্বীপঃ এই দ্বীপ আন্দামান সাগরে সক্রিয় টেকটনিক প্লেটের মাঝখানে অবস্থিত। এই এলাকায় ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থাকলেও, দ্বীপের চারপাশের জল স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য আদর্শ। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের এই আকর্ষণীয় স্থানটিতে পর্যটকদের নামার অনুমতি নেই।
লাক্ষাদ্বীপের কিছু দ্বীপঃ লাক্ষাদ্বীপে প্রায় ৩৬ টি দ্বীপ থাকলেও এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে শুধুমাত্র একটি দ্বীপেই ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। আগতি, বাঙ্গারাম, কদমত, কাভারতী এবং মিনিকয় দ্বীপে ভারতীয়দের প্রবেশের ঘোরাফেরার অনুমতি নেই।