ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার আগে তিনটি শর্ত রেখে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে পদ ছাড়ার পর তিনি তাঁকে গ্রেপ্তার যেন না করা হয়।
সঙ্গে শাহবাজ শরিফের জায়গায় অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তৃতীয় শর্ত হিসেবে তিনি বলেছেন যে পদ ছাড়ার পরে তার বিরুদ্ধে NAB ধারায় কোনও রকম মামলা দায়ের যাতে না করা হয়।
এর আগে ইমরান খান দুই মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে নিজেদের বায়োডাটা বদলে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের প্রাক্তন মন্ত্রী বলে লিখে দেন।
ইমরান সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এবং বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি নিজেদের বায়ো ডাটা বদলে দেন এবং নিজেদের প্রাক্তন মন্ত্রী বলে জানান জানান।
স্পিকার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাব এর পর ভোটিং করানোর বিষয়ে স্পিকার আসাদ কায়সার অস্বীকার করেন। তিনি জানান যে আমি অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটিং করে ইমরান খানের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করতে পারব না।
তিনি জানান, এ কারণে যদি কোনও শাস্তি পেতে হয় তা আমি ভুগতে রাজি। ইমরান খানের পার্টি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে।
আরো পড়ুন: এবছর হালখাতা করতে গে’লে কত টা’কা জ’মা করতে হ’বে জেনে নিন, জানুন বাজারের নতুন “রেট”
জানিয়ে দেওয়া যাক যে আজ শুক্রবার রাতে বিপক্ষ দলের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটিং হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে পিটিআই সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ইমরান সরকারের উপরে ঝটকা দেওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছেন এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রস্তাবের ওপর ভোটিং করানোর আদেশ দিয়েছেন।