সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ডিমের গুরুত্ব অপরিসীম। দিনে অন্তত পক্ষে একটি বা দুটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ডিম যদি দেখে শুনে না খান তবে সে ক্ষেত্রে তা আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক সময় ডিমের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দেখা দেয়। ডিমে যদি হালকা সবুজ বা গোলাপি কিংবা অন্য কোনও অস্বাভাবিক রং দেখতে পান তাহলে সাবধান।
এমন অদ্ভুত রংয়ের ডিম দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা ফেলে দিন। এই ডিমের মধ্যে সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ হতে পারে। ডিমের সাদা রঙের পরিবর্তন সর্বদা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিমের গন্ধ কিছুটা টকজাতীয় হয়। এই জাতীয় নষ্ট ডিমের কুসুম সাদা রংয়ের হয় এবং আঁশ জাতীয় স্তর পড়ে যায়। ধীরে ধীরে যা বাদামি বর্ণ ধারণ করে।
অনেক সময় দেখা যায় ডিমের কুসুম হলুদ রঙের হচ্ছে। এর পেছনে মুরগির খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুরগির খাবারে হলুদ বা কমলা রঙের জিনিস রাখলে মুরগির ডিমের কুসুমের রং ঘন হলুদ হয়।
যে কার্টুনের মধ্যে ডিম আসে সে কার্টুনের মধ্যেই ডিম রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডিম সবসময় 45 ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার কম তাপমাত্রার ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিমের মধ্যে বিপদজনক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই ডিমের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই সেই ডিম নির্দ্বিধায় ফেলে দিন। নতুবা এই অস্বাস্থ্যকর ডিম শরীরের মধ্যে প্রবেশ করলে মারাত্মক বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।