সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জনপ্রিয় এই মাছটি সায়নাইডের থেকেও ক্ষ’তি’কা’র’ক, না জেনে খেলেই মৃ’ত্যু

ভারত বাংলাদেশের নদী অথবা সমুদ্রের প্রায়শই এক প্রকারের মাছের দেখা মেলে। যাকে সাধারণ বাংলা ভাষায় বলা হয় পটকা মাছ। এই মাছের চল সাধারণত জাপানে রয়েছে। জাপানের মানুষ এই মাছের তৈরি প্রিপারেশন খেতে পছন্দ করেন। ভারতে বিশেষ কেউ পটকা মাছ না খেলেও বাংলাদেশ অবশ্যই মাছ ধরা হয়, বিক্রি হয় এবং খাওয়াও হয়। তবে জানেন কি পটকা মাছ কিন্তু ভীষণ বিষাক্ত এক প্রকারের মাছ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সায়ানাইড বিষের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিকারক বিষ বহন করে এই মাছ। তাই বাংলাদেশের এই মাছ খেয়ে মৃতের সংখ্যাটা কিন্তু কিছু কম নয়। পটকা মাছ খেতে চাইলে মাছের খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন। সাধারণত প্রজননের সময় এই মাছের চামড়া এবং গোনাডে বিষ তৈরি হয়। তখন যদি এই মাছ খাওয়া হয় তাহলেই মৃত্যু নিশ্চিত। আবার ঋতুভেদেও পটকা মাছে বিষ তৈরি হয়।

এই মাছ দিয়ে খাবার বানানোর আগে দক্ষ কারোকে দিয়ে পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। জাপানের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রাঁধুনি একমাত্র এই মাছ দিয়ে খাবার বানানোর অনুমতি পান। জাপানে যারা এই মাছ খান তারা মাছের বিষ বাদ দিয়েই খান। কাজেই সারাবিশ্বের তুলনায় জাপানে এই মাছ খাওয়ার প্রচলন বেশি থাকলেও সেখানে মাছ খাওয়ার দরুন মৃত্যুর হার খুব কম।

অনেকে মনে করেন অত্যধিক তাপে রান্না করলেই পটকা মাছের বিষ নষ্ট হয়ে যাবে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। অত্যধিক তাপে রান্না করলেও বিষ নষ্ট হয় না। উপরন্তু বিষ এক জায়গায় থেকে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যায়। অতএব যারা এই মাছের সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের এমন মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।