পরিবহন মাধ্যমের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ রেল পরিষেবা নিয়ে থাকেন। অত্যন্ত দ্রুত এবং স্বল্প খরচে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেলপথ আদর্শ মাধ্যম। তবে মাঝে মধ্যেই রেলপথে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালককেই এর জন্য দায়ী করা হয়।
রেলপথে দুর্ঘটনার কারণে প্রাণহানির সংখ্যা কিছু কম নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনে প্রশ্ন আসে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কেন চালক ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন না? তার কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে। যে কারণে ট্রেন চলতে চলতে হঠাৎ দাঁড়াতে পারেনা। ট্রেনে একাধিক বগি থাকে। প্রতিটি বগিকে চালনা করার জন্য চাকার সংখ্যাও বেশি থাকে।
এতগুলি বগি সুসংবদ্ধ ভাবে রেল ট্রাকে চালানোর দায়িত্ব থাকে চালকের কাঁধে। ট্রেনের ব্রেক এমনিতে খুব ধীরে ধীরে কাজ করে। হঠাৎ করে ব্রেক কষলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে চালক যদি একজনকে বাঁচাতে চান তাহলে ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী মৃত্যুর মুখে পড়তে পারেন।
তবে এরকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য রেলের তরফ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে দূরের জিনিস দেখার জন্য ট্রেনের জোরালো আলোর ব্যবস্থা থাকে। তাছাড়া ট্রেন স্টেশনের কাছাকাছি আসার আগে থেকেই হর্ন দিতে শুরু করে যাতে আওয়াজ শুনেই লাইনের উপরে থাকা ব্যক্তি সতর্ক হয়ে যান এবং বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। তা সত্ত্বেও যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত কেউ ট্রেনের সামনে কেউ চলে এলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।