সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রবীন্দ্রনাথ যদি বেঁ’চে থাকতেন ত’বে নিজের হা’তে পুরষ্কার তু’লে দিতেন মমতাকে: শুভাপ্রসন্ন

মমতা ব্যানার্জীকে বাংলা সাহিত্য একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে, আর তারপর থেকেই একেবারে চারদিকে কান পাতা দায়। সবাই যেন কটাক্ষ সুরেই বিভিন্ন কথা বলে চলেছে।

কেউ হয়তো মমতা ব্যানার্জীর সমর্থনে কথা বলছেন, আবার হয়ত কেউ তাঁর বিপক্ষে কথা বলছেন। যেটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ কোনো একটা কাজের দুই দিক থাকেই।

তবে এবার জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন মুখ্যমন্ত্রীর এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি মনে করেন, মমতাকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ধরনের অন্যায় দেখছেন না।

আরো পড়ুন: স্বামীর সম্পত্তি থাকলে শ্বশুরের কা’ছে খরচ দা’বি করতে পারবেন বিধবা পুত্রবধূ, রা’য় দিল্লি হাইকোর্টের

চারদিকে সাহিত্যিকদের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা শোনা গেলেও তিনি কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর পাশেই রয়েছেন। এমনকি সেই সব আক্রমনকারীদের উদ্দেশ্যে একটু কটাক্ষ করেই বলেছেন, যদি রবীন্দ্র নাথ বেঁচে থাকত, তাহলে স্বয়ং এসে মমতাকেসংবর্ধনা দিয়ে যেত।

এখানেই কিন্তু শেষ নয় তিনি আরও বলেছেন, জনগণের সেবা করে সে সাহিত্যে সময় দিয়েছে। মানুষের জন্য কবিতা গান লিখেছে। সাহিত্যের প্রতি নিজের ভালোবাসা ব্যাক্ত করেছেন। তারা পুরস্কার পেয়েছেন এটা তিনি মনে রাখবেন না।

মমতার পাওয়া পুরস্কার তারা পেয়েছেন, এতে তাঁদের শ্লাঘার বিষয় হওয়া উচিৎ। এরপরেই সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি রবীন্দ্র নাথ প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, তারা যেমন রবীন্দ্র নাথকেও বোঝে নি। তেমন ভাবে তারা পুরস্কারকেও বোঝে নি।

আরো পড়ুন: কষ্ট করে থিয়েটারে কা’জ জুটিয়েছিলেন, পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ৫০ টা’কা, সাফল্যের ক’থা শোনালেন জেঠালাল

রবীন্দ্র নাথ এদের মতো ঈর্ষ্কাতর না। তিনি বেঁচে থাকলে নিজে এসে মমতাকে পুরস্কার দিয়ে যেতেন। মমতা ব্যানার্জীকে তাঁর বই কবিতা বিতানের জন্য দেওয়া হয় বাংলা একাডেমী পুরস্কার। তাছাড়া তাঁর এই কাজের পাশাপাশি সাহিত্যকে ভালোবাসা, সাহিত্যে সময় দেওয়া এই নিয়েও প্রশংসা করেছন অনেকে।

গত সোমবার ২৫ বৈশাখ উপলক্ষ্যে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানেই মঞ্চে উপস্থিত সবার সামনেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সমাজের অন্য সব কাজের পাশাপাশি, নিরলস সাধনা তাঁর সাহিত্য নিয়ে সত্যি কম দেখা যায়। বাংলার সমস্ত শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের মতামত নিয়েই মাননীয়াকে পুরস্কার দেওয়া হবে।