বাগনানের বাসিন্দা অনির্বাণ সামন্ত পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। তবে তার ১০০% বৃহদন্ত্র এবং 75 শতাংশ ক্ষুদ্রান্ত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার বাঁচার আশাও ক্রমশ কমে যাচ্ছিল। এই অবস্থায় ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে মাথায় রীতিমতো আকাশ ভেঙে পড়েছিল তার স্ত্রী শর্মিষ্ঠার।
তবে দীর্ঘ তিন মাস ধরে মরণ বাচন লড়াইয়ের শেষে অবশেষে স্বামীকে সুস্থ করে ঘরে তুলতে পেরেছেন ওই গৃহবধূ। হাসপাতাল থেকে ফেরার দিন তাকে স্বাগত জানানোর জন্য ফুলের মালা দিয়ে কেক কেটে সাদরে ঘরে তোলা হয়।
এত ব্যবস্থা দেখে রীতিমতো আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তার স্ত্রীকে বলেন, তুমি জিতে গেছ। তোমার মনের জোর আমাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে। গত ১২ই এপ্রিল রাতে হঠাৎ তার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়।
প্রথমটা গুরুত্ব না দিলেও শেষমেষ যন্ত্রণা বাড়তে থাকায় তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবার তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শেষমেষ হাওড়ার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবার চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করার পর জানান খুব বেশি হলে ১ থেকে দেড় মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারেন তিনি। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি শর্মিষ্ঠা।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি তার স্বামীকে নিয়ে বিমানে করে মুম্বাইতে চলে যান এবং সেখানকার নামী বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান। অর্গান ট্রান্স্পরেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে ছয় ঘন্টার চিকিৎসায় তার স্বামী আজ সুস্থ।