সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাঁ’চি দিতে গিয়ে প্র’স্রা’ব করে ফেলতাম, হা’স’তে গিয়ে কাঁ’দ’তা’ম: করিনা কাপুর খান

ইতিমধ্যেই দুই সন্তানের মা হয়েছেন কারিনা কাপুর খান। অত্যান্ত গ্ল্যামারাস লুক নিয়ে উপস্থিত হন সকলের সামনে। ইতিমধ্যেই তৈমুর সকলের মনে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তবে বড় ছেলের নাম রাখা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল সকলের মধ্যে, তাই এবার ছোট ছেলের নাম খুব ভেবেচিন্তে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারিনা কাপুর খান এবং সাইফ আলি খান। সম্প্রতি দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার পর প্রকাশ্যে নিজের ছেলের ছবি এনেছিলেন কারিনা কাপুর খান। সোশ্যাল মিডিয়াতে সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সেই সমস্ত ছবি।

দু বার মা হওয়ার পর এবার নিজের প্রেগনেন্সি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করলেন একটি বইয়ের মাধ্যমে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঠিক কি কি সমস্যার মধ্যে পড়তে হতো তাকে, তা একটি ইনস্টাগ্রাম ছবির মাধ্যমে জানিয়েছেন কারিনা কাপুর খান। এই ইনস্টাগ্রাম স্টোরির নাম দিয়েছেন, বেবি প্রেগনেন্সি বিংগো। ইতিমধ্যেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষ দেখে ফেলেছেন এই ইনস্টাগ্রাম স্টরি। নিজের মতো করে মতামত জানিয়েছেন সকলেই।

এই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কারিনা কাপুর খান জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর যে স্ট্রেচ মার্ক হয়, সেটা নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তায় ছিলেন তিনি। শুধুমাত্র তাই নয়, সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই শপিং করা যেন তার একটি অভ্যাসের হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেকদিন সন্তানের জন্য কিছু না কিছু শপিং করছেন তিনি। গর্ভাবস্থায় পিৎসার একটি আলাদা ভালোবাসা জন্মে ছিল তার। আরেকটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হত তাকে। সকলেই তাঁর বেবি বাম্প ছুঁয়ে প্রশ্ন করতেন, আমি কি তোমার বেবি বাম্প ছুঁয়ে দেখতে পারি?

এই রকম অনেক অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে যেতে হয়েছিল তাকে। অনেক সময় এমন হয়েছে তিনি এতটাই হাসছেন যে বুঝতে পারেননি কখন হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলেছেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকবার মুড সুইং হয়েছে তার। আবার অনেক সময় এমন হয়েছে হাঁচি দিতে গিয়ে প্রস্রাব বেরিয়ে গেছে তার। এই সমস্ত অভিজ্ঞতা একথা বিষয়ে তিনি লিখেছেন তাঁর বইতে। বেবি বাম্প নিয়ে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করেছিলেন তিনি, সে সমস্ত অভিজ্ঞতার কথা লেখা রয়েছে এই বইতে।

দ্বিতীয়বার মা হওয়ার পর যে অফুরন্ত সময় তিনি পেয়েছিলেন বিশ্রাম করার জন্য, সেই সময়টিতে বই লিখতে শুরু করেছিলেন তিনি। তিনি বই সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন, যাঁরা মা হতে চলেছেন, তাদের জন্য আমার বইটি প্রেগনেন্সি বাইবেল। মর্নিং সিকনেস হোক অথবা ডায়েট ফিটনেস, কি করতে ইচ্ছা হয় আর কি করতে ইচ্ছা হয় না, সব কিছু লেখা রয়েছে এই বইতে। এই বইটি আপনাদের কেমন লাগল তা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকবো আমি।