সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বি’রা’ট স’ত’র্ক’বা’র্তা বিজ্ঞানীদের, বিশ্বে খাদ্যের ভান্ডার শে’ষ হ’য়ে যা’বে ২০৫০ সালের ম’ধ্যে

যত সময় এগোচ্ছে ততটাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মিলিয়ে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকহারে। স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খাবার চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে হু হু করে। সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যার হিসাব করা যায় তাহলে সেটা ৭ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। জনসংখ্যা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু খাদ্য উৎপাদন ঠিক আগের মতোই রয়ে গেছে।

যা নিয়ে দারুন চিন্তায় বিজ্ঞানী মহল। ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে তাদের তরফ থেকে। তারা জানিয়েছে আসন্ন ২৭ বছরের মধ্যেই নাকি মানুষের খাদ্য ভান্ডার ফুরিয়ে যাবে। শুধু কি এখানেই শেষ? তারা নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে মানবজাতির জন্য।

২০২২-এর ২৪ এপ্রিল থেকে মানুষের কাছে আর মাত্র ২৭ বছর ২৫১ দিনের খাদ্যের পরিমান থাকবে। চিন্তার সীমা আরও বৃহদ, তারা জানিয়েছে খাদ্য ও জলের জন্য এক বিরাট বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাও করছেন তারি। ২০৫০ সালের পর খাবার ভান্ডার একেবারেই শেষ হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন: পড়ে না গিয়েও সাইকেল চা’লা’নো স’ম্ভ’ব? ন’য়া আবিষ্কার কলকাতায়

এই বিষয় নিয়ে সমাজবিজ্ঞানী এডওয়ার্ড উইলসন জানিয়েছেন , পৃথিবীর মতোই আরো একটি গ্রহ প্রয়োজন বর্তমান জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে। পৃথিবীর পক্ষে যেটা এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ বর্তমান মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহের ক্ষমতা সীমিত। এর জন্যই তিনি নিরামিষাশী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মানুষ যদি নিরামিষ খাবার খাওয়া শুরু করে তাহলে মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য থাকবে আগামীতে। কিন্তু মাছ-মাংসের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। বর্তমানে যে জনসংখ্যা রয়েছে তা আগামী দিনে আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে, আর সেটা গিয়ে দাঁড়াবে ১০ বিলিয়নে। এদিকে ২০১৭ সালের তুলনায় ৭০% বেশী খাদ্যের প্রয়োজন হবে।

কিন্তু পৃথিবীর ক্ষমতা কেবল ১০ বিলিয়ন মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ৮ হাজার বছর ধরে যে খাদ্য উৎপাদিত হয়েছে, তার থেকে অধিক পরিমাণে খাদ্য প্রয়োজন হবে আগামী ৪০ বছরের মধ্যে। যা খুবই চিন্তার বিষয়।