যত দিন যাচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এক একটি মোড় নিতেই চলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক একটি কুকীর্তি বের হতেই রয়েছে। সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলী জেলার যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। লাখ লাখ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিতেন, এমন অভিযোগ প্রথম থেকেই উঠেছে তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে।
কিন্তু কত টাকা নিতেন তিনি সে বিষয়ে ইডি সূত্রে দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে প্রায় ২০০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। নিজের পকেট ভরে যার ভাগ পৌঁছে যেত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। এভাবেই একের পর এক দুর্নীতি হয়ে গেছে সবার আড়ালে। কিন্তু জোট দিন যাচ্ছে আরো অনেক নথি উঠে আসছে এনাদের বিরুদ্ধে।
আর এই কারণেই এই শুক্রবার কুন্তল ঘোষকে নগর দায়রা আদালতে পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানেই প্রায় ১৬ কোটি টাকার হিসেব পেশ করে ইডি বলে জানা যায়। এই সংস্থা সূত্রেই দাবি, কুন্তলের মোট ২০ জন এজেন্ট ছিলেন। ইতিমধ্যেই ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।
আরো খবর: রেল লাইনের উপর খেলায় ব্য’স্ত শিশু, ট্রেন থামিয়ে খুদেকে কো’লে তু’লে নিলেন চালক
জিজ্ঞাসাবাদে সেই ১০ এজেন্ট টাকা তুলে যুবনেতার হাতে পৌঁছে দেওয়ার কথাটিও স্বীকার করে নিয়েছেন। আর এই এজেন্ট মারফত লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে কুন্তল ঘোষ। তদন্তকারীদের হিসেব অনুযায়ী প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল। ২০০ জনের কাছ থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।
যেটা কুন্তল নিজে তো আত্মসাৎ করেছেই বাদ বাকি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডির তরফ থেকে আরো বলা হয় যে, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের এই তিনটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে কুন্তল। পাশাপাশি বিএড, ডিএলএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ।
এরপর এদিন আদালতে যুবনেতার জামিনের আর্জি জানালেও তা একবারেই খারিজ করেন বিচারপতি। পাশাপাশি আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত কুন্তলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপর তদন্তে আর কী কী তথ্য ইডির হাতে উঠে আসে সেটাই এবার দেখার বিষয়।