সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশে এই মুহূর্তে কতজন মা’দ’কা’স’ক্ত রয়েছে? অ’বা’ক করা ত’থ্য পে’শ করলো কেন্দ্রীয় সরকার

দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সুপ্রিম কোর্টে এবার মাদক সেবন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে কত মানুষ মাদক সেবন করেন এমনকি কত শিশু এই মাদকের কবলে পড়েছেন সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে। দেশে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সেই প্রায় ১.৪৮ কটি শিশু মাদকের শিকার হয়েছেন।ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের একটি হরফ নামায় জানানো হয়েছে ২০১৮ সালে ভারতে এই মাদক ব্যবহারের মাত্রা এবং প্যাটার্নের উপর প্রথম জাতীয় সমীক্ষা করা হয়।

এই সমীক্ষা পরিচালনা করে দিল্লি এইমসের ড্রাগ নির্ভরতা চিকিৎসা কেন্দ্র। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয় ভারতীয়দের দ্বারা ব্যবহৃত সাইকো একটিভ পদার্থ হলো অ্যালকোহল। তারপরেই রয়েছে গাঁজা ও অপিওডস। দেশের ১৬ কোটি মানুষজন অ্যালকোহলের উপর নির্ভরশীল।

দেশের ৫.৭ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিকারক অ্যালকোহল ব্যবহার করায় মৃত্যু পথযাত্রী। ৩.১ কোটি লোক গাঁজা সেবন করেন। এর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে গাজার কবলে পড়ে গিয়েছেন ২৫ লাখ। সুপ্রিম কোর্টের সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি জানিয়েছেন ২২.৬ মিলিয়ন ওপিওড ব্যবহার করে। সুপ্রিম কোর্টের ২০১৬ সালে প্রায় অনুযায়ী ভারতে মাদকের ব্যবহারের পরিমাণ ও প্যাটার্নর উপর যে সমীক্ষা চালানো হয় তার একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরি করা হয়।

আরো খবর: আপনি UPI ব্যবহার করেন? তাহলে খবরটি আপনার জন্যই

এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাচপান বাঁচাও আন্দোলনের একদল কারিগর। এই সম্পর্কে এক সিনিয়র অ্যাডভোকেট জানান, ২০১৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের জারি করা নিয়মের অপব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ। আর এই অপরাধ কঠোর হাতে দমন করবার জন্য সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি আরো জানান জাতীয় পরিকল্পনায় যুক্ত করতে হবে আরও বিভিন্ন দিক।

নাগরিকের মাদক ব্যবহারের সমস্যা সমাধানের জন্য সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক এবং ড্রাগ ডিমান্ড রিডাকশন একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোতে হবে। প্রধান উদ্দেশ্য হলো প্রতিরোধমূলক শিক্ষার সচেতনতা সৃষ্টি, সনাক্তকরণ কাউন্সিলিং চিকিৎসা এবং সেবা প্রদান।বিশেষ করে পদার্থ নির্ভর ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের দিকে ফোকাস করতে হবে। জাতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত নীতির কিছু পরিবর্তন ঘটাতে হবে শিশুদের এই মারন ব্যাধি থেকে বাঁচানোর জন্য।