আজ পিতৃ পক্ষের অবসান হয়ে দেবিপক্ষে সূচনা হয়ে গেল। মহালয়ার পুন্যতিথি থেকেই এক প্রকার পুজোর শুরুই বলা চলে। এবার শুধু দিন গোনা আর ষষ্ঠীর দিন বোধনের মাধ্যমে উমাকে বরণ করে নেবার পালা। তবে আমরা প্রায়শই দেখি দেবী কোন বাহনে আগমন এবং কোন বাহনে প্রত্যাবর্তন তার ব্যাখ্যা দেয় পঞ্জিকা। হিন্দু শাস্ত্রে এর ব্যাখ্যা রয়েছে বিস্তর কিন্তু কিভাবে ঠিক হয় পঞ্জিকা? পঞ্জিকাররাও কিভাবে বলতে পারেন এগুলি তারই আলোচনা থাকলো এই প্রতিবেদনে।
এ বছরে দেবী আসছেন গজে যার ফল শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা আর দেবী প্রত্যাবর্তন করছেন নৌকায় যার ফল জল বৃদ্ধি এবং শস্য বৃদ্ধি অর্থাৎ বলা যায় এ বছরটি খুব ভালো একটি বছর যাতে এই ধরিত্রী শস্যপূর্ণ। মা তাঁর আশীর্বাদ দিয়ে যাবেন সকলকে এবার কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে পঞ্জিকা কিভাবে ঠিক করে বলতে পারে? দেবীর আগমন কোন বাহনে হবে তা নির্ভর করে সপ্তমী তিথি কোন বারে পড়েছে তার ওপর। আর দেবীর প্রত্যাবর্তন নির্ভর করে কোন বারে দশমী তিথি পড়েছে তার ওপর।
এ বছর যেমন রবিবার অর্থাৎ ২রা অক্টোবর সপ্তমী, তাই দেবী আসছেন গজে এবং বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ই অক্টোবর দশমী তাই দেবীর গমন নৌকায়। এ নিয়ে বিস্তর ব্যাখ্যা রয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে। তবে শাস্ত্রকাররা মনে করেন রবিবার বা সোমবার সপ্তমী বা দশমী তিথি হলে দেবীর আগমন বা গমন হবে গজে।
আরো পড়ুন: অনুমতি না নিয়েই রি’মে’ক, নেহা কক্করের বি’রু’দ্ধে আদালতে যে’তে চাইছেন ফাল্গুনী পাঠক!
অপরদিকে সপ্তমী বা দশমী যদি মঙ্গল বা শনি হয় তাহলে দেবীর ঘোড়ায় আগমন বা গমন হয়। সপ্তমী বা দশমী তিথি বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার হলে দোলায় আগমন বা গমন বোঝায়। তবে একই বাহনে আগমন এবং গমন হলে তাকে অশুভ বলেই মনে করা হয়। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বা দুর্গাপুজোর রীতির নিয়ে হিন্দু শাস্ত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশ রয়েছে।