সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

স্বাস্থ্যসাথী থা’কা সত্ত্বেও সুন্দরবনে বাঘের থাবায় জ’খ’ম ব্যক্তিকে ভ’র্তি নিলো না হাসপাতাল

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে, কিন্তু তবুও কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্‍সা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর শী নামক এক ব্যক্তি। শঙ্কর শী হলেন সুন্দরবনের বাসিন্দা। বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হন তিনি। কিন্তু সেই অবস্থাতেও তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন শঙ্কর। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্য কথা বলছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শঙ্করের চিকিত্‍সা হয়েছিল জরুরি বিভাগ এবং বর্হিবিভাগে।

যেহেতু চিকিত্‍সকের কাছ থেকে ভর্তির পরামর্শ পাওয়া যায়নি তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
গত ৩ এপ্রিল নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েন সুন্দরবনের ভুবনেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর শী এবং তাঁর স্ত্রী। বাঘের থাবায় হাত এবং কাঁধে চোট পান তিনি। স্থানীয় এক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিত্‍সা চলে তাঁর এবং তারপর তাঁকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন এই হাসপাতালে ১৬ হাজার টাকার উপর বিল হয় তাঁর। ৫ এপ্রিল আবার বর্হিবিভাগে ড্রেসিং করতে আসেন শঙ্কর। তার বিল হয় সাড়ে ৮০০ টাকা।

শঙ্কর বলেছেন, সেই সময় অস্ত্রোপচার করতে হবে হলে তাঁকে টাকা জমা দিতে বলা হয়। যদিও এই দাবির কোনো ভিত্তিই নেই বলে উল্লেখ করেছে হাসপাতাল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মানবিকতার খাতিরে শঙ্করকে ভর্তি করে চিকিত্‍সা করা উচিত ছিল হাসপাতালের।’

পরে শঙ্করের গ্রামের বাসিন্দারা চাঁদা তুলে দক্ষিণ বারাসতের ১০ শয্যার একটি নার্সিংহোমে শঙ্করের অস্ত্রোপচার করান। স্থানীয় চিকিত্‍সক জানিয়েছেন, পরে আবারও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পরে। এই মামলার শুনানিতে কমিশন জানায়, শঙ্করের যাবতীয় চিকিত্‍সা করতে হবে ওই অভিযুক্ত হাসপাতালকে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেই শঙ্করের চিকিত্‍সা হবে। কমিশনের চিকিত্‍সকেরাও শঙ্করকে সাহায্য করবেন। কমিশনের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিত্‍সক তাঁর চিকিত্‍সায় মেডিক্যাল বোর্ডে থাকবেন।

এছাড়াও পূর্ব বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অনৈতিক কারবার চলার অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। এমনটাই দাবি কমিশনের চেয়ারম্যান। ওই অভিযোগ জানিয়েছেন শুভদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেখানে চড়া দামে রোগীর পরিবারকে ওষুধ বিক্রি করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন নড়েচড়ে বসেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ”এটি অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত।” এই ঘটনার তদন্তের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলার এডিএম-স্বাস্থ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। শুধু তাই নয়, যত দিন না পর্যন্ত এই তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততদিন ওই হাসপাতালের লাইসেন্স নবীকরণ না করারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।