জমে থাকা জল, তার মধ্যে কুকুর এবং ইঁদুরের প্রস্রাব, মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে একেবারে আদর্শ। সম্প্রতি এই মারণ রোগের কথা জানা গেছে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের জারি করা একটি নির্দেশিকায়। এই মারণ রোগের ফলে চোখ টকটকে লাল হয়ে যাচ্ছে, পায়ের পেশি অসাড় হয়ে যাচ্ছে, ঘাড় নড়াচড়া করতে পারা যাচ্ছে না, এসব কিছু লক্ষণ এর ফলে তৈরি হচ্ছে লেপটোস্পাইরোসিসের মত মারণ রোগের আতঙ্ক।
সম্প্রতি এই মহামারী নিয়ে সর্তকতা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য মুখ্য আধিকারিক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে গেছে। যদিও এই মুহূর্তে এই রোগ সেই ভাবে আক্রমণ করতে পারছে না কাউকে, তাই চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই রোগটি নির্মূল করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে আশঙ্কার বিষয়, এই মারণ রোগের মৃত্যুর হার যথেষ্ট বেশি। কোনরকম অসতর্কতা আগামী দিনে বড়োসড়ো ক্ষতির সম্মুখীন করে দিতে পারে আমাদের। এই রোগ বিশেষত সারমেয় জাতির থেকে ছড়িয়ে যায়। কুকুর, ইঁদুর অথবা যেকোনো গবাদিপশুর শরীরে দেখতে পাওয়া যায় এই ব্যাকটেরিয়া।
যে সমস্ত পশুর আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে, তাদের প্রস্রাবে পাওয়া যাচ্ছে একাধিক ভাইরাস। এই ভাইরাস কোন ভাবে মানুষের শরীরের সংস্পর্শে এলেই হয়ে যাবে বিপদ। প্রায় যে সমস্ত জায়গায় ইঁদুরের উৎপাত বেশি অথবা যে সমস্ত এলাকায় গবাদি পশু পালন করা হয়, সেখানে এই রোগ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি।
এ রোগের অনুকূল পরিবেশ বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়া। পশুদের প্রস্রাব মাড়িয়ে আসার পর এই রোগের সংক্রমণ শুরু হয়ে যায় কিন্তু উপসর্গ দেখা দেয় অনেক পরে। প্রায় একমাস পরেই বোঝা যায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কোন মানুষ, তাই এখন থেকেই সাবধান হয়ে থাকতে হবে প্রশাসনকে