সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চি’ন্তা’য় স্বাস্থ্য দপ্তর! শিশুরা আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছে স্ক্রাব টাইফাসে, জেলায় বাড়ছে আ’ক্রা’ন্তে’র সং’খ্যা

একেই তো দু’বছর ধরে করোনার প্রকোপে মানুষের নাজেহাল অবস্থা, তার ওপর আবার এক নতুন রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি এবার মারণ ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বেশ কয়েকটি শিশু ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর এটি এখন মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত খাজুরিয়া এলাকার রাস্তার পাশের ধাবায় কর্মরত এক অতি দরিদ্র পরিবার সম্মুখীন হয়েছে এই ভয়াবহ সমস্যার। পরিবারের শিশু কন্যা সারবানু ইয়াসমিন, বয়স চার বছর আট মাস। তার বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর হয়েছিল ও সেই সাথে তার শরীর ফুলে যাচ্ছিল। তখন তাকে লালবাগের চিকিৎসক সুব্রত হালদারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওই চিকিৎসক সারবানুর বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল টেস্ট করান।

মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট আসতেই জানা যায় শিশুটি স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। তারপর ওই শিশুকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীর অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ১৪ দিনের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই খবরে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে রোগীর মা নাজিয়া বেগম জানান, “বাড়িতে কিছু অসুবিধা থাকায় মেয়েকে হাসপাতাল নিয়ে যাই আমরা। ওখানে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তাই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে চলে আসা হয়।” জানা গেছে, সারবানু ইয়াসমিন ছাড়াও তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে নাজিয়া বেগমের। এই ব্যাপারে সারবানুর চিকিৎসক সুব্রত হালদার বলেন, “ওর স্ক্রাব টাইফাস ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি বাইরে থেকে ওর ক্লিনিক্যাল টেস্ট করিয়েছি। শুনেছি হাসপাতাল থেকেও ওর টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

সারবানুর বাবা কুমুরুদ্দিন শেখ একটি অভিজাত ধাবায় রান্নার কাজ করেন। তাঁর কথায়, “চিকিৎসকের ওপর আমাদের ভরসা আছে, উনি বলেছেন ঠিক মত ওষুধ খাওয়ালে মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই আর হাসপাতালে রাখিনি, বাড়িতে ফিরে আসি। সময় মত ওষুধ খাওয়াতে আমাদের কোনও অসুবিধা হবে না।”

সূত্রের খবর, দু’বছর আগে অমৃতকুন্ডুর এক ব্যক্তি ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, কিন্তু তিনি মারা যান। অবশ্য অন্য এক জন চিকিৎসায় সুস্থও হয়ে ওঠেন। তাই এইবার ওই রোগ দেখা দিতেই বিএমওএইচ জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী এলাকার আশা কর্মী থেকে সাব সেন্টারের কর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়ার বক্তব্য, “রোগী বর্তমানে সুস্থ থাকায় তাকে ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই রোগীর প্রতি নজরদারি চালানো হচ্ছে।”