সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ষ’ড়’য’ন্ত্র করে তা’কে হে’ন’স্তা করা হ’চ্ছে! পরীমণি’র জা’মি’ন নিয়ে মুখ খু’ল’লেন তার দাদু শামসুল হক

ষড়যন্ত্র করে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে! পরীমণির জামিন নিয়ে মুখ খুললেন তার দাদু শামসুল হক

সম্প্রতি মাদককান্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। তাঁর জামিনের আবেদন একাধিকবার নাকচ করেছে ওপার বাংলার আদালত। এখন একজন আসামীর মতো গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিভৃতে জীবন কাটছে তাঁর। অন্যান্য বন্দীদের মতোই জেলের খাবার খাচ্ছেন। পরীমণিকে নিয়ে তদন্তের ফলে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে অনেক গোপন তথ্য।

এছাড়া এমনও অভিযোগ উঠেছে যে পরীমনিকে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। পরীমণির আইনজীবী সহ অনেকেই এই অভিযোগ করেছেন। এইবার এই একই অভিযোগ করলেন পরীমণির দাদু শামসুল হক।

তিনি বলেন, ‘পরীমণিকে হয়রানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষ একই কথা বলছে। সবাই বলছে, তাঁকে অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এটাই সবাই বলছে।’ গত ৪ আগস্ট , ঢাকার বনানী এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় পরীমণিকে। তারপর থেকে জেলেই আছেন তিনি।

পরীমণির জামিন না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শামসুল হক। তিনি বলেন, ‘পরীর আমি ছাড়া আর কেউ নেই। কেন তাঁকে এই ভাবে হেনস্তা করা হবে?’ তাঁর দাবি, তাঁর নাতনি যা উপার্জন করেছে, তার সবটাই জনহিতকর কাজে ব্যয় করেছে। তিনি বলেন, ‘পরীমণি প্রতিবছর এফডিসিতে দুঃস্থ শিল্পীদের জন্য কোরবানি দেয়। অনাথ আশ্রমে জন্মদিন পালন করে। তার নিজের বাড়ি নেই। বাড়িভাড়া নিয়ে থাকে। ’

এমনকি পরীমণির দাদু শামসুল হক এও অভিযোগ করেছেন যে পরীমণিকে তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এতে তার অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক বিশিষ্টব্যক্তি এবং আইনজীবীদের মতে, একজন নাগরিক হিসেবে সাংবিধানিকভাবে পরীমণির জামিন পাওয়ার অধিকার থাকলেও তাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।

রবিবার পরীমণিকে আবার তোলা হয়েছিল আদালতে। তাকে আবার জেলেই পাঠিয়েছে আদালত। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পরীমণির জামিন নিয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। তাঁর জামিনের জন্য হাইকোর্টে বিনা পারিশ্রমিকে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন ওপার বাংলার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রবিবার রাতে ফেসবুক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন ‘পরীমণির মামলা বিনা পারিশ্রমিকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা সঙ্গে থাকতে চান থাকবেন।’ তিনি জানান, তাঁর এই কর্মসূচিতে তাঁর পাশে সুপ্রিম কোর্টের আরও কয়েকজন আইনজীবীকেও পেয়েছেন।