সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

তিনিই মডেলিংয়ের সং’জ্ঞা পা’ল্টে দিয়েছেন! পু’রো শরীর ঢে’কে’ই হাঁ’টে’ন র‍্যা’ম্পে

ফ্যাশনের ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে খোলামেলা পোশাক। যে পোষাকে শরীরের প্রায় বেশিরভাগ অংশটাই থাকে বাইরে। যিনি যতটা খোলামেলাভাবে নিজেকে সকলের সামনে মেলে ধরতে পারবেন, মডেলিং এর দুনিয়ায় তার কদর যেন তত বেশি।

তবে এই ধারণাকে আমূল পাল্টে দিয়েছেন বিশিষ্ট মডেল হালিমা আদেন। খোলামেলা পোশাক তো দূর, আপাদমস্তক না ঢেকে হালিমা কখনো র‌্যাম্পেই ওঠেন না। তিনি এই পৃথিবীর একমাত্র মডেল যিনি হিজাব পড়ে মডেলিং করেন।

শুধু মুখ এবং হাত পায়ের তালু ছাড়া বাকি সম্পূর্ণ অংশ হিজাবের আড়ালে লুকিয়ে রাখেন তিনি। মডেলিং করার জন্য নিজেকে বদলাতে বিশ্বাসী নন হালিমা। বদলে তিনি বরং সিস্টেম বদলাতে আগ্রহী। সেই বিশ্বাসে ভর দিয়েই এই লাইনে এসেছিলেন তিনি।

২০১৬ সালে মাথায় হিজাব এবং গায়ে বুরকিনি চাপিয়ে ‘মিস মিনেসোটা ইউএসএ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি তখন তাকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন বিচারকেরা।

কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরে জন্ম হয়েছিল হালিমার। খুব ছোট বয়সেই বাবা মায়ের সঙ্গে আমেরিকাতে চলে আসেন তিনি। মিনেসোটার সেন্ট ক্লাউড স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তারপর সেন্ট ক্লাউড স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন তিনি।

মডেলিংয়ের ওই প্রতিযোগিতায় তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। একটি সংস্থার হয়ে তিন বছরের জন্য চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।

কখনও নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইক, কখনও মিলান ফ্যাশন উইক, কখনও কোনও আন্তর্জাতিক স্তরের ম্যাগজিনের জন্য ফটোশ্যুট কিংবা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার হয়ে মডেলিং করেন হালিমা। ২০১৮ সালে ইউনিসেফ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছেন হালিমা।

ইউনিসেফ-এর সঙ্গে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি। তবে এর মাঝেও ইন্ডাস্ট্রির মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে না পেরে মাঝে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন হালিমা। তখন মডেলিংয়ের দুনিয়া ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোটি কোটি মহিলার কথা ভেবে আজও তার লড়াই চলছে।