সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গ্রুপ C: প্রাপ্ত নম্বর জি’রো, বে’ড়ে হলো ৫৭, ৩৪৭৮ জনের তালিকায় নম্বরের বি’স্ত’র ফা’রা’ক

কতটা যে দুর্নীতি হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশ করা তালিকা সামনে আসার পর। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবারে ৩০০০ এরও বেশি গ্রুপ সির চাকরি প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই ধরা পড়ে যে ওএমআর এর প্রাপ্ত নম্বর এবং সার্ভারের নম্বর কত।

এই ফারাকে যেন একেবারে আকাশ পাতাল তফাৎ। কোন কোন ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর নম্বর দেখা গেছে শূন্য থেকে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ আবার, কারোর এক থেকে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪। এরকমভাবে প্রায় ৩,৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে।

গাজিয়াবাদী ওএম আর মূল্যায়নকারী সংস্থার নাইসা থেকে পাওয়া তথ্য এবং কলকাতার এসএসসি অফিস থেকে পাওয়া নম্বরের তালিকার মধ্যে পার্থক্যর কারণে অভিযোগ উঠেছিল, যার ফলেই শুরু হয়েছিল তদন্ত। একথা অবশ্য এসএসসি ও আদালতের স্বীকার করে নেয়।

এর পরবর্তীকালে ১০ই মার্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নম্বরের তালিকা প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন‌। সেই নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসে।

আরো খবর: মাইনে বা’ড়’লো মন্ত্রী-বিধায়কদের, রাতারাতি লাখপতি কেজরিওয়াল সরকার

সেই তালিকায় রয়েছে প্রার্থীদের নাম এবং রোল নাম্বার নাম এবং রোল নাম্বার দেখে পরপর মেলালেই দেখা গেছেন আসল নম্বর এবং এমনি পাওয়া নম্বরের মধ্যে কতটা তফাৎ।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে নম্বর ৫০ এর ওপর দেওয়া হয়েছে। এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের চাকরির ক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমস্ত নমুনা দেখে ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন,” রুমাল ছিল কিন্তু সেটা বিড়াল হয়ে গেল”।

তদন্তে উঠে এসেছে অনেক প্রার্থীরা রোল নম্বর লিখে সাদা খাতা জমা দেওয়ার পরেও তারা চাকরি পেয়ে গেছেন। তবে, এবার প্রমান প্রকাশ্যে এসেছে শুধুমাত্র যে নবম দশমের ক্ষেত্রে তা কিন্তু নয় এসএসসির ক্ষেত্রেও একাধিক দুর্নীতি সামনে এসেছে।