এক লক্ষ বেকারকে চাকরি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দপ্তর। রাজ্য জুড়ে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির বন ধ্বংস করা হবে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে। বিভিন্ন জুটমিলে সুদক্ষ যুবক-যুবতী প্রয়োজন। সে কথা বিবেচনা করে যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের বন্দোবস্ত করে দিতে চাইছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এই প্রশিক্ষণ শেষ হলে তারা চটকলে কাজ করতে পারবেন।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের কারণে ভিন রাজ্য থেকে আগত শ্রমিকেরা তাদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। সেই শ্রমিকেরা এখনো এই রাজ্যে ফিরে আসেননি। যে কারণে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কল কারখানার শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের যুবক-যুবতীদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের উপযুক্ত করে তুলতে চাইছে শ্রমদপ্তর। এই মুহূর্তে কল-কারখানা গুলিতে প্রায় ৩৫ শতাংশ শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে।
দক্ষ শ্রমিকের অভাবে চূড়ান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কলকারখানাগুলিকে। সেই সমস্যা মেটাতে এবার অগ্রণী ভুমিকা নিয়েছে শ্রমদপ্তর। শ্রম মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন চটকালে উৎপাদিত চটের ব্যাগের চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। তবে দক্ষ শ্রমিকের অভাবে সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের চিনি বা আটা কারখানায় এ রাজ্যর চটের ব্যাগের চাহিদা বেশি। গত বছর জোগানে প্রায় ১৫ শতাংশ ঘাটতি থেকে গিয়েছিলো।
করোনার কারণে এবং দক্ষ শ্রমিকের অভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে চটকল সংস্থাগুলিকে। বেশকিছু চটকল শ্রমিকের অভাবে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই ১৭টি চটকল সংস্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রম দপ্তর। এর জন্য শীঘ্রই ১ লক্ষ বেকারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ৩ মাসের প্রশিক্ষণ এবং ভাতা পাবেন তারা। এরপর তাদের বিভিন্ন চটকলে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
