সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোন তারিখ থে’কে রাজ্যে খু’ল’বে স্কুল? জেনে নিন কি ব’ল’লো শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

স্কুল খোলা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবক এবং শিক্ষকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একের পর এক আবেদন জানিয়েছেন তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বিবেচনা করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানালেন স্কুল খোলা সম্পর্কিত বিষয়ে কিছু কথা। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে কবে স্কুল খুলবে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ব্রাত্য বসু সোমবারে একটি সাংবাদিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করে জানিয়েছেন রাজ্য সরকার ধাপে ধাপে স্কুল খুলতে চাইছে। তবে বিষয়টি আপাতত পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। স্কুল খুললে যাতে সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে আবার স্কুল বন্ধ করার পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই উদ্দেশ্যে স্কুল খোলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। শিক্ষা মন্ত্রী আরও বলেছেন, সরকারও স্কুল খোলার পক্ষে।

অভিভাবকদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছেন পুরো বিষয়টিই মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব সহকারে দেখছেন। উপযুক্ত সময় এলে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। উল্লেখ্য করোনা‌ পরিস্থিতিতে দুই হাজার কুড়ি সালের মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও মাঝে অবশ্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খুলেছিল। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াতে ফের স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়।

দেশজুড়ে 15 থেকে 18 বছর বয়সীদের টিকা করন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এখন রাজ্য সংক্রমণ কমে এসেছে। করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ শিথিল হয়েছে অনেক। স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে অনেকেই টিকা পেয়ে গিয়েছেন। তাহলে এখনও কেন স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবক শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ। শিক্ষা মন্ত্রী জানাচ্ছেন এখন স্কুল খোলার বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো না গেলেও পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। আগামী 7 ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় শিক্ষালয় চালু করা হয়েছে। এতে রাজ্যের প্রায় 60 লক্ষ পড়ুয়া উপকৃত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।