সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডুয়ার্সপ্রেমীদের জন্য ভালো খবর, ডিসেম্বর থেকে হাতি সা’ফা’রি’র টি’কি’ট পাওয়া যা’বে অনলাইনেই

একদিকে চলে এসেছে শীতের মরসুম, কিন্তু কোনভাবেই করোনা সংক্রমণ কমছে না। কিন্তু তাতে কি? ইতিমধ্যেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়াতে যাবার জন্য প্রস্তুত অনেকেই। গরুমারা পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি চালু করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে সরকার। ডিসেম্বর মাস থেকেই অনলাইনে হাতি সাফল্যের জন্য টিকিট কাটার পরিষেবা চালু করা হবে, এমন জানানো হয়েছে রাজ্য বনদপ্তর সূত্র থেকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটকরা। অনলাইনে হাতি সাফারির জন্য টিকিট কেটে যদি ডুয়ার্সে হাতি সাফারি করতে পারেন তাহলে মন্দ কি।

তবে এই বিষয়ে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডি এফ ও অংশু যাদব এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। ২০২০ সালের মার্চ মাসের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্র। গোরুমারা জাতীয় উদ্যান আরো একবার হাতি সাফারি চালু করার কথা ঘোষণা করতেই সেখানে যাবার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। এই বছর অক্টোবর মাসে পুজোর সময় গরুমারা জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও হাতি সাফারির অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অবশ্য কালিপুর ইকো ভিলেজ এবং ধুপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে হাতি সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার হাতি সাফারি শুরু হওয়ায় রীতিমতো আনন্দিত পর্যটকরা।

এই সাফারি করতে গেলে আপনার খরচ হবে ১০২০ টাকা। যদিও অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি বনদপ্তর। তবে বর্তমান পরিস্থিতি এবং পর্যটকদের সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে অনলাইনে টিকিট কাটার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন বনদপ্তর। ডিসেম্বর মাস থেকে চালু হলেও এখনও নির্দিষ্ট কোন তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছিলেন যে মূর্তি এলাকার কাউন্টার থেকে যদি হাতি সাফারি টিকিট দেওয়া না হয় তাহলে পর্যটকদের গাছ বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে গরুমারা ট্যুরিজিম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবকমল মিশ্র বলেছেন,সাধারণ পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি চালু করার কথা আমরা অনেকদিন ধরেই বলেছিলাম। অবশেষে পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি চালু করল সরকার।

এই বিষয়ে আমরা সরকার এবং বনদপ্তর কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু শুধুমাত্র লাটাগুড়ি থেকে টিকিট দেওয়া হবে এটা কিছুতেই মানতে পারা যাচ্ছে না। অদূর ভবিষ্যতে যাতে সমস্ত জায়গা থেকে টিকিট দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার কথা অনুরোধ জানাব সরকারকে।