সামনেই গণেশ চতুর্থী। গোটা দেশে খুবই জাঁকজমকের সঙ্গে গণেশ পুজো হয়ে থাকে। গণেশ চতুর্থী বিনয়াক চতুর্থী নামেও পরিচিত। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীর দিনে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। গণেশের জন্মোৎসব হিসেবে এই দিন পালন করা হয়। মনে করা হয়, এদিন গণেশের উৎপত্তি হয়েছিল। তিনি সমস্ত দেবতাদের মধ্যে প্রথম পুজ্য। চলতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর পড়েছে গণেশ চতুর্থী। ইতিমধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
মহারাষ্ট্র, গোয়া, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকের মত নানা রাজ্যেই আড়ম্বরের সঙ্গে গণেশ পুজো করা হয়। অনেকে বাড়িতে স্থাপন করেন গণেশ মূর্তি। গণেশ পুজো চলে দুই থেকে দশ দিন। তবে করোনার কারণে গত বছর থেকে সেই জাঁকজমক খানিকটা ম্লান হয়ে গেছে। হিন্দু পুরাণ মতে, গণেশের প্রিয় খাবার হল মোদক। তিনি নাকি প্রচণ্ড মোদক খেতে ভালোবাসেন। তাই চতুর্থীতে গণপতিকে তুষ্ট করতে দেওয়া হয় মোদক। তাহলে সহজ পদ্ধতিতে মোদক কিভাবে বানাবেন, চলুন তার এক ঝলক দেখে নিই —
মোদক বানানোর উপকরণ: চালের গুঁড়ো— ১ কাপ | নারকেল কোড়া— ১ কাপ | এলাচ— এক চিমটে | নুন— আধ চা চামচ | গুড়— ১ কাপ | সাদা তেল— আধ চা চামচ
-প্রথমে নারকেল কুরে তা একটি প্যানে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। এবার অন্য একটি পাত্রে এক কাপ জল ফোটাতে হবে। সেই ফোটানো জলে গুড় ঢেলে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে, তাতে ভাজা নারকেল মিশিয়ে ঢেলে মিশিয়ে নিতে হবে ভাল করে। এবারে এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে কিছুক্ষণ পরে আঁচ বন্ধ করে দিতে হবে।
একটি পাত্রে গরম জলের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর তাতে তেল ও নুন যোগ করে চালের মিশ্রণটি ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে হাতের তালুতে কাপের মতো বানিয়ে তার মধ্যে নারকেলের মিশ্রণ দিয়ে কাপের মুখটি আটকে দিতে হবে। এবার ভাল করে ভাপিয়ে নিতে হবে নারকেল ভর্তি কাপগুলো। তৈরি হয়ে গেল মোদক। অনেকে আবার মোদক না ভাপিয়ে ভেজেও নেন। বর্তমানে আবার নানা ধরনের স্বাদের মোদক পাওয়া যায়। যেগুলোর মধ্যে কেশরি মোদক, চকোলেট মোদক, মোতিচূর মোদক, ড্রাই ফ্রুট মোদক বেশ জনপ্রিয়।