বালির দুই গৃহবধূ বাড়িতে কাজ করতে আসা রাজমিস্ত্রির প্রেমে পড়ে বাড়ি থেকে পলাতক হয়েছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই বালির দুই গৃহবধূ, রিয়া ও অনন্যার রাজমিস্ত্রি প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর খবর গপগপ করে গিলছে গোটা বাংলা। তবে পালিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি, আসানসোল থেকে ধরা পড়ে আপতত শ্রীঘরে দুই রাজমিস্ত্রি। কিন্তু ঘটনায় হতবাক অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। ফেসবুকের দেওয়ালে নিজের বিস্ময় প্রকাশ করে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। বধূরা পুলিশকে স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন, সুভাষ ও শেখর তাঁদের অপহরণ করেনি।
কিন্তু তা সত্ত্বেও, হাওড়া জেলা আদালত মুর্শিদাবাদের ওই দুই রাজমিস্ত্রিকে বৃহস্পতিবারই ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে। অনেক মহলেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, ‘অপহৃতদের’ বয়ানের পর কেন জামিন খারিজ করা হল ধৃত দুই রাজমিস্ত্রির? একই ভাবনা ‘জুন আন্টি’র। জুনকে ছোট পর্দায় শ্রীময়ীর স্বামীর সঙ্গে পরকিয়ায় লিপ্ত হতে দেখা গিয়েছে । পরবর্তীতে শ্রীময়ীর স্বামীর হাতটা পাকাপাকিভাবেই ধরেছিল জুন। দর্শকদের চোখে জুন যতই ভিলেন হোক না কেন, ঊষসী বহুবার বলেছে জুনের প্রতি সমব্যাথী তিনি, কারণ জুনও পরিস্থিতির শিকার। অনিন্দ্যকে সত্যি ভালোবেসেছিল সে।
https://www.facebook.com/ushasiec/posts/459080068923346
এদিন ঊষসী ফেসবুকে লেখেন, ‘কদিন ধরে দেখে শুনে মনে হচ্ছে বাড়ির বউ প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া থেকে আর বড় কোনও ক্রাইম আশে পাশে ঘটেনি । আর আমার আইনের জ্ঞান এত তীব্র নয় কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছি না দুজন প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছায় প্রেম করেছেন, একজন তার মধ্যে বিবাহিত। তারপর তারা পারস্পরিক সম্মতিতে গৃহত্যাগ করেছেন। এটা কি কোনও শাস্তি যোগ্য অপরাধ? নাকি গরীব রাজমিস্ত্রি বলেই আমাদের মধ্যবিত্ত আত্মসম্মানে বেশী ঘা লেগেছে বড়লোক হলে ওটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে যেতাম। মানে মোদ্দা কথা আমি ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছি না। আপনারা বুঝলে জানান।’