সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব’ড়ো থেকে ছো’টো সকলেই গরমে এই স’ম’স্যা’য় আ’ক্রা’ন্ত হতে পারেন! স’ত’র্ক থাকুন

অতিরিক্ত গরমে প্রাণ একেবারে বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। এই প্রচন্ড গরমে হাইপারথার্মিয়া-য় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একে সহজ ভাষায় ‘হিট ইলনেস’ বা অত্যন্ত তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতা বলা হয়৷ ৪ বছর বয়সি শিশু থেকে ৬৫ বছরের প্রৌঢ়, যে কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন৷

হাইপারথার্মিয়া কী?

শরীর যখন অতিরিক্ত গরম হয়ে পড়ে তখন এর তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়৷ শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলে এর বিপরীত অবস্থা হয়, তখন তাকে বলে ‘হাইপোথার্মিয়া৷’ অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্র পরিস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ থাকলে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে৷ শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট অবধি হয়ে যেতে পারে।

সাধারণ জ্বরের সঙ্গে পার্থক্য :

হাইপারথার্মিয়া হলে শরীরের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট ‘সেট পয়েন্ট’ ছাড়িয়ে যায়৷ এই সেট পয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে হাইপোথ্যালামাস৷ কিন্তু জ্বর হলে হাইপোথ্যালামাসের প্রভাবে শরীরের সেট পয়েন্ট টেম্পারেচার বেড়ে যায়৷

আরো পড়ুন: ভারতীয় দল থে’কে কি কোহলিকে বাদ দেওয়ার প’থে বোর্ড?

সেক্ষেত্রে সংক্রমণ বা জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লড়াই করে৷ ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷ হাইপারথার্মিয়া-য় শরীর নিজের থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে না৷

বিভিন্ন ধরনের হাইপারথার্মিয়া – মৃদু থেকে জটিল একাধিক উপসর্গকে হাইপারথার্মিয়া বলা হয়৷ সেগুলির মধ্যে পড়ে-

• হিট ক্র্যাম্প-ঘামের ফলে শরীর থেকে নুনজল বেরিয়ে গেলে হাত ও পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে।

আরো পড়ুন: মা হওয়ার পর ফের মারকাটারী শ’রী’র, অভিনেত্রী পূজার শাড়ি পরার স্টা’ই’লে ম’জ’লো নেটিজেনরা, ভাইরাল ভিডিও

• গরমের কারণে ত্বকের নানা অংশে বিশেষ করে কনুইয়ে, স্তনের নীচে, যৌনাঙ্গে বা ঘাড়ে লাল ব্রণ বা ফোস্কার মতো সংক্রমণ দেখা দেয়৷

• হিট স্ট্রেস-দমকলবাহিনী, খনি ও কনস্ট্রাকশন এলাকায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের এরকম অবসাদ দেখা দেয়৷ এর ফলে মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গ প্রভাবিত হয়৷

• হিট স্ট্রোক-হাইপারথার্মিয়ার সবথেকে বিপজ্জনক ধাপ৷ শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়৷ যদি তাপমাত্রা ১০৬ ডিগ্রি ফারনেহাইটের বেশি হয়, তা অত্যন্ত সঙ্কটজনক৷ এর ফলে মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে৷ হতে পারে মৃত্যুও৷

আরো পড়ুন: মা’রা’ত্ম’ক কা’ন্ড! বাড়িওয়ালার ভ’য়ে পোষ্য বিড়ালকে বি’য়ে করে নিলেন মহিলা

তবে এ থেকে মুক্তি পেতে পারেন :

> তীব্র গরম ও আর্দ্রতায় চড়া রোদে কায়িক পরিশ্রম একেবারেই নয়।
> কাজের মাঝে নুন চিনির জল পান করা জরুরি।
> শিশুসন্তান বা পোষ্যকে বন্ধ গাড়িতে রেখে যাবেন না।
> তাপপ্রবাহ চললে শীতল জায়গায় রোদ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
> হাল্কা রঙের সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন৷

উপরিউক্ত পন্থা গুলি মেনে চললে এর হাত থেকে নিস্তার সম্ভব। তবে জ্বর বেশি হলে, হাঁটতে, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হলে, কথা বলতে জটিলতা হলে, খুব ঘাম হলে, জ্ঞান হারালে, অসংলগ্ন আচরণ দেখা দিলে আর অপেক্ষা না করাই ভালো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।