পাহাড়ি অঞ্চলে হাতির উপদ্রব নতুন কথা কিছু নয়। রাতের অন্ধকারে দু তিনটে হাতি প্রতিনিয়ত ঢুকে পরে গ্রামে। কিন্তু এই তাণ্ডব যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনই ব্যাহত হয় জনজীবন। আমি রবিবার ভোর রাতে হাতির উপদ্রবে আরো একবার জলপাইগুড়ি বাসের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে। বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল ছেড়ে তিস্তার পার ধরে দুটি হাতি হানা দেয় শহরে। চলে আসে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। হাতি দুটির তাণ্ডব দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যায এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি বনদপ্তরের কর্মী এবং আধিকারিকরা।
সেদিন ভোরে জলপাইগুড়ি টিবি হাসপাতাল ছাড়া সঞ্জয় নগর কলোনী এলাকার স্থানীয় এক বাসিন্দা রনি রাজবংশী জানান, ভোর বেলার দিকে দুটি হাতি দেখতে পান তিনি। হাতি দুটি নেতাজি পাড়া এলাকা থেকে নদী পার হয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে এসে ফের হাসপাতালে পিছন দিক দিয়ে নদীর দিকে নেমে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী রনি রাজবংশী জানিয়েছেন, কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। তবে হাতি দুটির খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে বনদপ্তর। মনে করা হচ্ছে হাতি দুটি জলপাইগুড়ি মাসকলাই বাড়িসংলগ্ন করোলা নদীর পাড়ে একটি ছবি আশ্রয় নিয়েছে। আপাতত সেখানেই পৌঁছে গেছেন বনদপ্তরের কর্মচারী এবং এলিফ্যান্ট স্কোয়াড।
নদীর ধারে জঙ্গলে ঝোপের মধ্যে হাতি দুটি কুয়াশার মধ্যে আটকে থাকায় কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বনদপ্তর কর্মীদের। হাতি দুটি যতক্ষণ না উদ্ধার করা হয় ততক্ষণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যে কোন ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য এমন নির্দেশ দিয়েছেন সরকার।