করোনা মহামারীর দরুন বিগত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ। অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে ঠিকই, তবে রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বহু পড়ুয়া এ পর্যন্ত ক্লাস করার সঠিক সুযোগ-সুবিধা পাননি। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের অভাবে একদিনও ক্লাস করতে পারেননি। তাদের কথা ভেবে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প ‘দুয়ারে শিক্ষক’।
ক্লাস ফাইভ থেকে শুরু করে এইট পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ‘শিক্ষার পরশ’ নামের একটি বাসে করে পড়াশোনার সামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম চা বাগান কিংবা বস্তিতে পৌঁছে যাবেন শিক্ষকেরা। রাজ্যের যে সমস্ত প্রান্তে ইন্টারনেটের পরিষেবা পৌঁছায় না, যে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই, তাদের জন্য চালু করা হয়েছে এই প্রকল্প।
অভিজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকা দের নিয়ে এই বাস পৌঁছে যাবে পড়ুয়াদের কাছে। এই বাসে পড়াশোনা সম্পর্কিত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রয়েছে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, প্রিন্টারের ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার সমগ্র শিক্ষা মিশনের এই কর্মসূচির সূচনা করেছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে গিয়ে তাদের একত্রিত করে তাদের পড়া বুঝিয়ে দেবেন।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ। যে কারণে জলপাইগুড়ি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। তাদের সকলের কাছে স্মার্টফোন নেই। ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকলেও দুর্বল পরিষেবার দরুন তারা তা ব্যবহার করতে পারেন না। তাই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর জেরে উপকৃত হবে হাজার হাজার পড়ুয়া।