পূর্ব মেদিনীপুরের বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, ঝড়ো হাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র। ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা জারি হয়েছে আগেই।
ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার পেটুয়াঘাট, শঙ্করপুর, শৌলা মৎস্য বন্দরে এসে পৌঁছেছে । কাঁথির অতিরিক্ত মৎস প্রধান জয়ন্ত কুমার প্রধান বলেন, কাঁথি নিউ ভবনে জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর পূর্বে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৎসজীবিরা ফিসিং হারবারে ল্যান্ডিং করেছে।
সমস্ত কিছু নজর রাখা হচ্ছে। কোনও ফিসিং বোটকে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত সমুদ্রে নামতে দেওয়া হবে না। রামনগর ও কাঁথির ব্লক প্রশাসন নিম্নচাপের মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে বলে অসামরিক প্রতিরক্ষা থেকে জানানো হয়।
আরো পড়ুন: আপনার প্রিয় ঠাকুরঘরে কি মা কালীর ছ’বি আছে? জানুন স’ঠি’ক নি’য়’ম
দিঘা সমূদ্রতটে কোনও পর্যটককে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। দিঘা পুলিস কড়া সতর্ক রয়েছে। দিঘা থানা ও দিঘা মোহনা থানার পক্ষ থেকে এদিনও মাইকিং করে প্রচার চলছে। জোয়ারের সময় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি নজরদারি চলছে প্রশাসনের।
দিঘায় পর্যটকরা ভীড় করলেও সমুদ্র সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। জারি হয়েছে সমুদ্রস্নানের নিষেধাজ্ঞা। সৈকতসরণী বরাবর দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে সমুদ্রের না নামেন তার জন্য ঘন ঘন মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে।
সমুদ্রে নামতে না দেওয়ায় পর্যটকরা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় , দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বেশ কিছু এলাকায় বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে।