বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় ‘ ইন্ডিয়া গেটে ‘ থাকছে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া গেট প্রাঙ্গণে ‘ কর্তব্য পথ ‘ উদ্বোধন করবেন এই দেশের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগের রাজপথ অর্থাৎ ক্ষমতার প্রতীক থেকে কর্তব্য পথ অর্থাৎ জনস্বত্ব ও ক্ষমতায়নের পথে স্থানান্তরের প্রতীক উন্মোচিত হবে, প্রধান মন্ত্রী কার্যালয় থেকে তেমনই জানা যাচ্ছে। এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘এই পদক্ষেপগুলি অমৃত কালের নতুন ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় পঞ্চ প্রাণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ: ঔপনিবেশিক মানসিকতার যে কোনও চিহ্ন মুছে ফেলুন’।
এইদিন শুধু এটিই নয় ইন্ডিয়া গেটে থাকা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি মূর্তি উন্মোচন করবেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর যে মূর্তিটি প্রধানমন্ত্রী উন্মোচন করবেন সেটি একই জায়গায় স্থাপন করা হচ্ছে যেখানে এই বছরের শুরুতে ২৩ জানুয়ারি নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছিল। এই ‘রাজপথ’ থেকে ‘কর্তব্য পথ ‘ নতুন করে শুরু করার আসল কারণ ছিল এখানের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যাবস্থা করা। আগে যা যা অসুবিধে ছিল সেগুলোকে সমাধান করা।
বছরের পর বছর ধরে, রাজপথ এবং সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ-এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে দর্শনার্থীদের যেভাবে ভিড় বাড়ে তাতে ওখানের পরিকাঠামোর উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তাই নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছেন যে এতে পাবলিক টয়লেট, পানীয় জল, রাস্তার আসবাবপত্র এবং পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের মতো মৌলিক সুবিধার অভাব ছিল। শুধু তাই নয়, অপর্যাপ্ত সাইনবোর্ড, জলের জায়গাগুলির দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ এবং অগোছালো পার্কিং-এর ব্যবস্থা ছিল।
আরো পড়ুন: ৭৫ জিবি অতিরিক্ত ডে’টা তাও আবার বিনামূ’ল্যে, ধা’মা’কা অ’ফা’র Jio-র
এছাড়াও, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ এবং অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে জনসাধারণের চলাচলে নানা সমস্যা হয় বলেও জানা গেছে। সেগুলো প্রতিকার করার দরকার তাই স্থাপত্য চরিত্রের অখণ্ডতা এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার কথা মাথায় রেখেই পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে’। তাই এই সমস্যা গুলোর কথা মাথায় রেখেই নতুন করে সুসজ্জিত করা হয়েছে ‘ কর্তব্য পথ ‘ কে।
জানা যাচ্ছে এই পথে সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ, ওয়াকওয়ে সহ লন, সবুজ এলাকা, সংস্কার হওয়া খাল, নতুন সুবিধা ব্লক, উন্নত সাইন এবং ভেন্ডিং কিয়স্ক দেখা যাবে। আরও, পথচারীদের জন্য নতুন আন্ডারপাস, উন্নত পার্কিং স্পেস, নতুন প্রদর্শনী প্যানেল এবং আপগ্রেড নাইট লাইটিং হল এমন আরও কিছু বৈশিষ্ট্য যা জনসাধারণের অভিজ্ঞতাকে সুন্দর করে তুলবে।
এছাড়াও আরো কয়েকটি নতুন ব্যাবস্থাও থাকছে। এখানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ঝড়ের জলের ব্যবস্থাপনা, ব্যবহৃত জলের পুনর্ব্যবহার, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, জল সংরক্ষণ এবং শক্তি-দক্ষ আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই নব আরম্ভ বৃহষ্পতিবার সন্ধে সাত ঘটিকায় প্রধান মন্ত্রীর দ্বারা উদ্বোধন করে শুরু করা হবে।
সাথে সাথে নেতাজির যে গ্রনাইটের মূর্তি রয়েছে সেটাকেও উন্মোচন করা হবে। আমাদের দেশের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যা অবদান তা আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞার। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই মূর্তি ওখানে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
