সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রতিকূলতার কাছে মা’ন’বে’ন না হা’র, হামাগুড়ি দিয়েই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হা’জি’র ছাত্র

দুরারোগ্য রোগ কেড়ে নিয়েছে তার দুটি পা। জন্ম থেকেই পা দুটি হয়ে পড়েছে অকেজো। তবে তা কখনো তার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। প্রতিদিন প্রায় কয়েক শো সিঁড়ি হামাগুড়ি দিয়ে ওঠানামা করে সে তার পড়াশোনা করছে। মায়ের কোলে চেপেই স্কুল এবং কলেজের স্তর পেরিয়েছে ওই পড়ুয়া। মফস্বলে ছেলেটি আজ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।

ভূগোলের স্নাতকোত্তর ক্লাসের প্রথম দিনে সে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। চিরদিনের মতো তার মা রয়েছেন তার পাশে। তবে নতুন জায়গায় নতুন বন্ধুদের উপস্থিতিতে মায়ের কোলে চেপে যেতে খানিক লজ্জাবোধ কাজ করে তার মনে। তাই ক্লাসে যাওয়া-আসার জন্য সে নিজেই হামাগুড়ি দিয়ে একের পর এক সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করে। আনলক পর্বের প্রথম দিনে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার এমন অদম্য ইচ্ছাশক্তির সাক্ষী থাকলো।

নদীয়ার নবদ্বীপের ওই ছেলেটির নাম রোহিত রায়। তার বাবার একটি ছোট মুদির দোকান আছে। তবে ছেলের পড়াশোনার সঙ্গে আপোষ করেননি বাবা-মা। উচ্চ মাধ্যমিকে 83 শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃষ্ণনগর গভর্মেন্ট কলেজে ভর্তি হয় সে। স্নাতকে 71 শতাংশ নম্বর পাওয়ার পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির আবেদন করে রোহিত।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা তার পক্ষে সমস্যাজনক ঠেকে। তাই সে দুই হাতে ভর দিয়ে হামাগুড়ি দিয়েই কয়েকশো সিঁড়ি উঠে পৌঁছে যায় তার ক্লাস রুমে। ক্লাসের শেষে নেমে আসে সেই একইভাবে। যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে জানান যে বিশ্ববিদ্যালয়ে লিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্রথম দিন লিফটের ব্যবহার সে জানত না। তবে সে শিখে নিয়েছে। এর পরদিন থেকে লিফট ব্যবহার করেই সে ক্লাসে যাতায়াত করবে বলে জানিয়েছে।