বাঙালিদের ভ্রমণের কথা মাথায় আসতেই যে নামটি প্রথমেই উঠে আসে সেটি হলো দীঘা। দীঘায় চোখ ধাঁধানো সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের মন জুড়িয়ে দেয়। আকর্ষণের কোনো খামতি নেই দীঘাতে। সম্প্রতি সেখানে যুক্ত হয়েছে আর একটি নতুন পালক। সেখানে তৈরি হতে চলেছে বিরল সামুদ্রিক প্রাণীদের একটি সংগ্রহশালা এবং গবেষণা কেন্দ্র।
ইতিমধ্যেই থার্মোমিটারের পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। তাপমাত্রা যত বাড়বে,তত ভিড় বাড়বে দীঘায়, এমনটাই আশা করেছিলেন সেখানে হোটেল ব্যাবসায়ীরা। সেই কারণেই ইতিমধ্যেই নব রূপে সজ্জিত হয়েছে দীঘা।কিন্তু বাস্তবে দেখাগেলো ভিন্ন চিত্র। এবারের দোলে দিঘায় পর্যটক ছিল নামমাত্র।
কার্যত পর্যটকহীন দোল কাটালো দীঘা। গত বছর দোলের দিনে পা ফেলার জায়গা ছিল না দীঘার বিচ গুলিতে। কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হাওয়ার পরই পর্যটকরা ভিড় জমতে শুরু করেছিলেন দিঘা এবং আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু এবার পর্যটকদের সংখ্যা দেখে রীতিমতো মাথায় হাত হোটেল ব্যবসায়ীদের।
সূত্রে খবর মঙ্গলবার অন্যবারের তুলনায় মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ভিড় হয়েছিল হোটেলগুলিতে। এর কারণ হিসেবে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোশিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বিশেষ দিনগুলিতে হোটেলের ঘরের দাম বাড়িয়ে রাখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ।
অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মধ্যবিত্তের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। ফলে কমেছে পর্যটক সংখ্যা। দিঘা থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেক,এটা কাম্য নয়। তাই আমরা সতর্ক হচ্ছি।’