আমরা অনেক সময়ই না জেনে শুনে এমন অনেক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলি যা আদতে আমাদের জন্য অমঙ্গল ডেকে আনে। ঈশ্বরের সাধনা করতে গিয়ে আমরা বেনিয়মে কার্যত ঈশ্বরের অপমান করে বসি। শাস্ত্রমতে প্রত্যেক দেবতাকে আরাধনা করার আলাদা আলাদা পন্থা রয়েছে। প্রত্যেক দেবতার আরাধনা করার জন্য যেমন আলাদা আলাদা মন্ত্র রয়েছে, তেমনই আবার নির্দিষ্ট কিছু নিয়মও রয়েছে। এই নিয়ম না মেনে পূজা করলে অমঙ্গল হতে বাধ্য।
এই যেমন পোকায় কাটা ফুল কিংবা বাসি ফুল দিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করলে ঈশ্বর অসন্তুষ্ট হন। এতে যিনি পূজা করছেন তার প্রতি ঈশ্বরের আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ নেমে আসে। উগ্র গন্ধযুক্ত কোনো ফুল কিংবা একেবারেই গন্ধ নেই এমন ফুল দিয়ে নারায়ণের পূজা করা যায় না। জবাফুল নারায়ণকে দেওয়া যায় না। শক্তির আরাধনা করতে হলে তবেই সুগন্ধি ফুল এবং জবা ব্যবহার করা যায়।
এছাড়াও জেনে রাখুন ভোরবেলা কিংবা সন্ধ্যেবেলা, পূর্ণিমা, অমাবস্যা এবং দ্বাদশী তিথিতে তুলসী গাছ থেকে তুলসী পাতা ছিঁড়তে নেই। এতে নারায়ণের অঙ্গে আঘাত লাগে। উল্লেখ্য, ওই বিশেষ সময়ে এবং তিথিতে যেমন তুলসী পাতা ছিঁড়তে নেই, তেমনি আবার বেলগাছ থেকে বেলপাতাও ছিঁড়তে নেই। তাতে উল্টে অমঙ্গল হয়। তাই সংসারে সুখ শান্তি ধরে রাখতে আজই এই অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।