সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাত্র ১ টাকায় সু’স্বা’দু সিঙ্গারা, দোকানের সামনে ল’ম্বা লা’ই’ন ক্রেতাদের

দিন দিন যত এগোচ্ছে ততোই যেন বাড়ছে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের সাথে সাথেও বাইরের খাবার দাবারের দামও বাড়ছে প্রচুর। মানুষের স্বাদের নানারকম খাবার আছে। সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের সাথে মানুষের একটি বিশেষ সময়ে খাবার থাকে এবং যেটা হলো সন্ধ্যেবেলায়। সন্ধ্যেবেলা মানুষ ভারী খাবার খাওয়ার বদলে হালকা কিছু স্নাক্স জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে, এই স্ন্যাকস গুলির মধ্যে বিশেষ করে যে খাবারটি প্রথমেই আসে, সেটি হল সিঙ্গারা।

কিন্তু আজকাল সিঙারার দামও যেন অনেক বেড়ে যাচ্ছে। শান্তিপুরের সূত্রাগড় অঞ্চলে একটি পুরনো মিষ্টির দোকানে ১ টাকার সিঙ্গারা পাওয়া যায়,যেটা অনেকটা স্বপ্নের মতো। এই ব্যাপারটি বর্তমান যুগে এসে বেশ অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। যেভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত বাড়ছে খাদ্য দ্রব্যের দাম সেইখানে এসে এখন এক টাকায় সিঙারা মানুষের কাছে একটা স্বপ্নের মতো।

এই এক টাকার সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য সকাল থেকেই লাইন দেয় ক্রেতারা। যে দোকানটিতে এক টাকার সিঙারা পাওয়া যায় সেটা হলো বটা ময়রার দোকান। প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো দোকানটি। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরই এই দোকানটিতে সিঙারা পাওয়া যেত এক আনা করে, কিন্তু পরে সেটি আস্তে আস্তে দাঁড়ায় দু আনা, পরে ২৫ পয়সা এবং পরে ৫০ পয়সা বর্তমানে এই সময় দাম দাঁড়িয়েছে এক টাকা।

এই এক টাকার সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য এই শান্তিপুরের আনাচে-কানাচে থেকে লোক এসে দাঁড়ায় ওই দোকানের সামনে। বর্তমানে এখন এই প্রাচীন মিষ্টির দোকানের মালিক হলেন অলক দাস। তিনি এই এক টাকার সিঙারা সম্পর্কে বলেন , “তার বাবা ঠাকুর দাদার আমল থেকে এই দোকানটি রয়েছে, দোকানে সেই সময় থেকেই সিঙারা বানানো হয়, এই সিঙারাটি কোন কর্মচারীরা তৈরি করেন না, তারাই তৈরি করেন যাতে খুব অল্প পয়সাতেই সাধারণ মানুষের হাতে তিনি পৌঁছে দিতে পারেন”।

তিনি আরো বলেন, ” শান্তিপুরের বাইরে থেকেও মানুষরা এই ১ টাকার সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য আসেন। সারাদিন ধরেই এই দোকানটি খোলা থাকে। অলোক বাবুর দিদি নিলিমা দাস তার বয়স প্রায় ৬৫ বছর এবং তিনি এই সিঙ্গারা সারাদিন ধরেই বানান এবং কড়াই থেকে সিঙারা ওঠাবার পরেই যেন তা, নিমেষের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়”।