সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সিঙ্গুর নিয়ে দেবাংশুর ফেসবুক পো’ষ্ট, “বুদ্ধবাবু জমি চো’র ছিলেন”

২০০৬ সালের ১৮ মে সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ি তৈরির প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন রতন টাটা। ২৫ মে থেকে ৯৯৭ একর কৃষিজমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখানে নাকি কৃষকদের জোর করে জমি নিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। তাই অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আন্দোলন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ ২৬ দিন ধর্মতলায় ও পনেরো দিন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে বসে আন্দোলন করেন তিনি।

এরকম নানা কারণ বশত টাটা কোম্পানি সিঙ্গুরে আর টাটা কোম্পানি গড়ে তুলতে পারেন নি যা অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বিরোধীরা এই প্রসঙ্গে একই কথা বলেন যে, তৃনমূল কংগ্রেস টাটাকে তাড়িয়েছে বা বলা ভালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টাটা ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আর এই প্রসঙ্গেই গত বুধবার শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন মূখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌কেউ কেউ বাজে কথা বলছে, টাটাকে আমি তাড়়িয়েছি। আর টাটা চাকরি দিচ্ছে। টাটাকে আমি তাড়াইনি। সিপিএম তাড়িয়েছে। পলিটিক্যাল কথা এখানে বলতে চাই না। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন।

আমরা জমি ফেরত দিয়েছি। জায়গার তো অভাব নেই। আমি জোর করে কেন জমি নেব?‌ আমরা এত প্রোজেক্ট করেছি। কিন্তু জোর করে জমি তো আমরা নিইনি। আমি পরিষ্কার বলি এখানে যত শিল্পপতি আছে কোনও বৈষম্য নয়। আমরা চাই বাংলায় তাঁরা ইনভেস্ট করুন। এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন।’‌ আর তার এই বক্তব্যে নিয়েই শুরু হয়েছে নানা রাজনৈতিক মতামত। বিরোধীরা নানা কথা বলতে শুরু করেছেন।

সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতা হয়েও মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। আর এসব দেখে শুনে আর চুপ করে থাকতে পারেননি তৃনমূল এর মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি ফেসবুকে এই সিঙ্গুর প্রসঙ্গ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করা নিয়ে সোচ্চার হয়ে লেখেন, ” কদিন আগে নয়ডাতে একটি বিরাট বড় অট্টালিকা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল। সমস্ত টিভি চ্যানেলের লাইভ টেলিকাস্ট হল।