কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল এবং ডিজেলে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে আবগারি শুল্ক কমিয়েছে, যার পরেই এবার কমেছে সর্ষে এবং চীনাবাদামের দামও। কমছে সোয়াবিন ও অন্যান্য তেলের দর। আবগারি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৯.৫ টাকা কমেছে।
এর ফলে অপরিশোধিত তেলের দামে বড় পতন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানো হচ্ছে সয়াবিন, চীনাবাদাম, তুলা ও সর্ষে থেকে। এতে সর্বোচ্চ চাপ সর্ষের ওপর, যা আমদানি করা তেলের তুলনায় অনেক কম। আমদানিকৃত তেলের চাহিদাও নগণ্য, যার কারণে গত বছরের তুলনায় এবার এপ্রিলে আমদানি প্রায় ১৩ শতাংশ কম।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সর্ষের দাম ১০০ টাকা কমে ৭,৫১৫-৭,৫৬৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল হয়েছে। এর সঙ্গে সর্ষের তেল ২৫০ টাকা কমে প্রতি কুইন্টাল ১৫,০৫০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, সর্ষে, পাক্কি ঘানি এবং কচি ঘানি তেলের দাম ৪০ টাকা কমে যথাক্রমে ২,৩৬৫-২,৪৪৫ টাকা এবং প্রতি টিন (১৫ কেজি) ২,৪০৫-২,৫১৫ টাকা হয়েছে।
এখন সরিষার তেল সর্বোচ্চ মাত্রার চেয়ে প্রতি লিটারে ৪৬ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে সর্ষের তেলের দাম লিটার প্রতি ১৬৪ টাকা। এটি সর্বোচ্চ থেকে ৪৬ টাকা কম। গত বছর সর্ষের তেলের দাম প্রতি কেজি ছিল ২১০ টাকা। প্রতীকী ছবি। সেই অনুযায়ী, প্রতি লিটার ৪৬ টাকার কম দামে কেনা যাবে সর্ষের তেল। অর্থাৎ ৫ কেজি সর্ষের তেল কিনলে ২৩০ টাকা সহজেই লাভবান হবেন আপনি। এপ্রিলে সর্ষের তেলের দাম দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১৫০ টাকা।