বাবা ছিলেন একজন ড্রাইভার, তবুও বাস ড্রাইভারের ছেলে হয়েও স্বপ্নকে তিনি কিছুতেই ফেলে দিতে পারেনি আজ সেই জন্যই তিনি এই রকম একটি সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন। বলা হচ্ছে দক্ষিণের এক তারকা যশের কথা। আজ দক্ষিণ তারকা প্রভাষ, রাম চরণ, অল্লু অর্জুন সবার মধ্যে নিজের একটি জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। কেজিএফ সিনেমাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এই অভিনেতার জীবনে সাফল্য এসেছে, এসেছে খ্যাতি, অর্থ সমস্ত কিছু।
ইতিমধ্যেই কেজিএফের প্রথম পার্ট প্রকাশিত হওয়ার পরে সিনেমাপ্রেমীরা অপেক্ষা করে রয়েছে কেজিএফ এর দ্বিতীয় পার্টের জন্য। আপাতত যশ রয়েছে দেশজুড়ে সকলের মনে এবং বিদেশেও তার সিনেমার চাহিদা অনেক বেড়ে চলেছে ইতিমধ্যেই তার কেজিএফ পার্ট টু বিদেশেও মুক্তি পেতে চলেছে। তবে এই রকম একজন অভিনেতার অতীত জানলে সত্যিই একদিকে যেমন কষ্ট লাগে তেমনি হয়তো এই গল্পটিও হয়ে উঠতে পারে অনেকের উৎসাহ।
যশের বাস্তব নাম নবীনকুমার গৌরা তার বাবা একজন কর্নাটকের বাসচালক ছোটবেলা থেকেই বেশ কষ্টে দিন কেটেছে অভিনেতার ছোটবেলা থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি ছিল ভীষণ পরিমাণে টান। এইজন্যই ক্লাস টুয়েলভে পড়ার পরই তিনি স্কুল ছেড়ে দেন এরপর থেকে তিনি আর পড়াশোনার ব্যাপারে কোনদিনও আগ্রহ দেখাননি অবশেষে নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তিনি যোগদান করেন থিয়েটারে।
পড়াশুনা ছেড়ে এরকমভাবে থিয়েটারে যোগদান করাটা পরিবারের সদস্যরা খুব একটা ভালোভাবে নেননি তবে এবারের সদস্যদের কথা না মেনে তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য চলে গেলেন ব্যাঙ্গালুরুতে। ব্যাঙ্গালুরুতে যখন তিনি পা দিয়েছিলেন তখন তার কাছে ছিল মাত্র ৩০০ টাকা। তার জীবনযাত্রাটা ছিল অত্যন্ত কঠিন প্রথমে সে লাইট ম্যান হিসেবে কাজ করেছে তারপর নির্মাণ কর্মী হিসেবে অবশেষে সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য তার কাছে একটি সুযোগ আসে এবং কেজিএফ এর মত ছবির জন্যই তার কাছে আসে প্রস্তাব এবং তারপর থেকে তার সাফল্য পৌঁছে যায় চরম শিখরে।