আজকাল আমাদের সকলেরই জীবনযাত্রায় অনেক বদল ঘটেছে। মানসিক চাপ এবং জটিলতা বৃদ্ধির কারণে তার খারাপ প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরের ওপর। এই কারণে খুব কম বয়স থেকেই মানুষ আজকাল উচ্চ কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগছে।
আর যেহেতু রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে তাই কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ছে। অনেক সময় কোলেস্টেরল বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সম্ভাবনা আসতে পারে। রোগের পাশাপাশি দিনের পর দিন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে চিকিৎসার খরচ।
শরীর সুস্থ রাখতে আজকাল মানুষের সঙ্গী হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধ। তবে জানেন কি ভারতীয় বিভিন্ন মশলার মধ্যেও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের একাধিক উপকারেও কাজে লাগে এইসব মশলা।
আরো পড়ুন: মোদির পর এবার কাশ্মীর ফাইলস দে’খা’র আ’হ্বা’ন জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
নিয়মমাফিক এইসব মশলা খেতে পারলে হাই কোলেস্টেরলের হাত থেকে আপনি সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে কোন কোন মশলা।
জিরে, ধনে, মৌরি : নিয়ম করে জিরে, ধনে, মৌরি খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। হজমের সমস্যা দূর হয়। ডায়াবিটিস আর কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। মৌরি আর্য়ুবেদিক মাউথওয়াশ হিসেবেও কাজ করে।
আমলা : নিয়ম করে আমলার পাউডার বা আমলার জুস খেলে কোলেস্টেরল থাকে নিয়ন্ত্রণে। আজকাল সুবিধার জন্য আমলার বড়িও পাওয়া যায়। শারীরিক উপকার পেতে কাঁচা আমলকিও খাওয়া যেতে পারে। আমলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় তা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়ায়।
লেবু্ : লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকায় লেবু আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে ভীষণ কার্যকরী।
প্রত্যহ সকালে খালিপেটে লেবু, মধু আর চিয়া সিডস মিশিয়ে খেলে ভাল উপকার তো পাবেনই, সেই সাথে দুপুরে খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস উষ্ণ লেবুর জল খেতে পারেন শরীর ঠিক রাখতে।
আরো পড়ুন: পর্দায় পার্বতীর রো’ল করা অভিনেত্রী বা’স্ত’বে সুপার কিউট, ছবি দেখলে চোখ ফে’রা’তে পারবেন না
রসুন : কোলেস্টেল কমাতে রোজ এককোয়া রসুন খাওয়া খুব উপকারী। এককোয়া রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রসুন খেলে একদিকে যেমন শরীরের বিভিন্ন হরমোন সঠিকভাবে কাজ করে, তেমনই শরীরের ব্যথা, বেদনাও অনেক কম থাকে।
অর্জুন : প্রাচীন আর্য়ুবেদ শাস্ত্রে এই অর্জুনের ব্যবহার সম্বন্ধে অনেক তথ্য রয়েছে। রূপকথার গল্পেও অর্জুনের ওষধি গুণের ব্যাপারেও অনেক কাহিনীর উল্লেখ আছে। এই ওষধি গুণকে কাজে লাগাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অর্জুন গাছের ছালের সঙ্গে চা মিশিয়ে খেতে পারেন।
আদা : আদার ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। রোজ দুবেলা অন্ততপক্ষে ২ কাপ করে আদা মেশানো চা খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়।
এছাড়া চা বানাতে শুকনো আদার পাউডার ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত ভাবে যদি আদা, তুলসি আর মধু দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন তাহলে একদিকে যেমন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই একাধিক উপকারও পাবেন।