ভিক্ষা করা মানেই হাত পাতা, সেটা যেখানেই হোক না কেন? এই স্বভাব অনেকের থাকে। তবে মনে রাখতে হবে যারা ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করে থাকে তারা কি স্বভাব থেকে করে? না বাধ্য হয়ে এই কাজ করে? এর উত্তর অনেক হতে পারে। তবে সেকথায় না গিয়ে আসল কথায় আসা যাক, ভিক্ষা যারা করে তারা শুধু হাত পাততে জানে, কিন্তু তারা কি কখনও হাত উপুড় করতেও জানে? এই প্রশ্নের উত্তর দিল স্বয়ং এক ভিখারি।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ফুলবনির বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দির চত্বরে। একজন ভিক্ষুক গত ২০ বছর থেকে সেখানেই ভিক্ষা করছেন, সেই কাজ করেই চলছে তার জীবন। জগন্নাথ তাকে অনেক দিয়েছে, তাই এবার তার ফেরত দেওয়ার পালা। আর সেটা তিনি করেছেন খুব খুশির সাথেই। এমনটা বলছি কারণ, তিনি কান্ডটাই ঘটিয়েছে এমন।
কারণ তার জীবনের যাবতীয় আয় ১ লক্ষ টাকা জগন্নাথ মন্দিরে দান করলেন, যেটা দেখে ও শুনে অবাক সকলে। হয়ত আপনিও অবাক হচ্ছেন। টুলু নামে সেই ব্যাক্তি, প্রেমে পরে প্রফুল্ল বেহারাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকবছর পরেই তার মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই সেই জগন্নাথ মন্দির চত্ত্বরেই তাকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সে ভিক্ষা করে।
আর ভিক্ষা করার টাকা জমিয়ে জমিয়ে একটা সময় জানতে পারে সেই টাকা ১ লক্ষের গন্ডি ছাড়িয়েছে। আর তারপরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেয় যে, এত বছর যা তিনি পেয়েছেন এবার সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসে গেছে।
আর সেইমতোই সে তার এত বছরের সঞ্চয় ফিরিয়ে দেয় মন্দিরে। তার যুক্তি জীবনের অনেক সময় কাটিয়ে এসেছেন তিনি, এখন তার আর এই টাকার দরকার নেই।