বিশ্বের প্রত্যেকটা দেশের প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব নিজস্ব স্থানীয় ভাষা রয়েছে। যদিও সেই স্থানীয় ভাষার সব জায়গায় প্রাধান্য পায় না তবে প্রাধান্য না পেলেও তাকে উপহাস করা একদমই উচিত নয়।
ভাষাগত বিদ্বেষের কারণে ১৪ বছরের বালককে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে মেক্সিকোর কোয়েরেতোরো প্রদেশে। খবর সূত্রে জানা গেছে এক কিশোর তার স্থানীয় ভাষায় কথা বলছিল এবং যেটা নিয়ে উপহাস করেছিল তার স্কুলের দুই সহপাঠী।
শুধুমাত্র যে তার সহপাঠীরা তার এই ভাষাকে নিয়ে উপহাস করত তা কিন্তু নয় এই উপহাসের সঙ্গেও জড়িত থাকত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকারা। ১৪ বছরের হুয়ান জ্যামোরানোক ওটোমি জাতির।
আরো পড়ুন: মেট্রোর উদ্বোধন কেন মমতাকে বা’দ দিয়ে? স্টেশনে-স্টেশনে বি’ক্ষো’ভ, হুঁ’শি’য়া’রি মদন মিত্রের
সেই কারণে স্কুলে গিয়ে সে তার স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে পারতো না,কারন তার স্থানীয় ভাষায় কথা বললে তাকে নিয়ে উপহাস করা হতো। মাঝে মাঝে অভিযোগ পরিবারের তরফ থেকে তোলা হতো যে সহপাঠীরা তার জাত তুলে নানা রকম ভাবে উত্ত্যক্ত করতো হুয়ানকে।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে হুয়ানের দুই সহপাঠী হুয়ানের বসার জায়গাতে অ্যালকোহল ঢেলে দিয়েছিল সেই অ্যালকোহল এর উপর বসে পড়ে ছিল হুয়ান, এরপরই হুয়ানের জামাতে এসে অ্যালকোহল লেগে যায় এবং ধরিয়ে দেওয়া হয় তার গায়ে আগুন।
আগুনে তার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বহু দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হুয়ান বাড়ি ফিরেছে। ইতিমধ্যেই হুয়ানের পরিবারের তরফ থেকে ওই দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।