কোনভাবেই যেন অসুস্থতা আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে না। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কম এখন। আমরা অপেক্ষা করে রয়েছি তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য। আগামী কিছু মাস সাবধানে থাকতে হবে আমাদের। উৎসবে মেতে উঠলেও সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে রাখতে হবে আমাদের। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ করে জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি এলাকায় অজানা এক সংক্রমনের জন্য ঘুম উড়ে গেছে প্রত্যেক অভিভাবকদের।
এই অজানা জ্বরের সঙ্গে কিভাবে আপনি মোকাবিলা করবেন, কিভাবে হচ্ছে এই জ্বর? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ি অজানা জ্বরের দশটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। যেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস এবং আর এস ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এটি নমুনার ক্ষেত্রে দুটি ভাইরাসের মিশ্রন পাওয়া গেছে। প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে বাকি তিনটিতে। কিন্তু তার মধ্যেই দুটি নমুনা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কেন নষ্ট হলো সরকারি নমুনা? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সকল মহলে।
বুধবার বিশেষজ্ঞ কমিটির একটি বৈঠক হয় যেখানে চিকিৎসা প্রটোকল নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু এবং স্ক্রাব ভাইরাসসহ একাধিক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ আলাদা করে চিকিৎসা করতে হবে চিকিৎসকদের। ভাইরাল জ্বর অথবা ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে সেগুলো আলাদাভাবে চিকিৎসা করতে হবে, সংক্রমণ অথবা মহামারী জনিত রোগের সঙ্গে এই রোগের আক্রান্তদের একসাথে রাখা যাবে না।
আরো বেশি ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে কোন ধরনের ভাইরাস বেশি প্রভাব ফেলছে মানুষের ওপর। আরো বেশি পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার কিট দেওয়া হবে। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাওয়া যাবে যে কোন ভাইরাসের ওষুধ।