সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে নিত্যনতুন ফাঁদ পাতছে প্রতারকেরা। এবার চেনাপরিচিত জনের নামে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে ইউজারকে ঠকাচ্ছে প্রতারকেরা। ছোটবেলার বন্ধু, কিংবা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, সহকর্মীর ডিপি লাগিয়ে ইউজারকে মেসেজ করা হচ্ছে। কোন রকম সন্দেহ না করে ওই প্রতারককেই বিশ্বাস করে ফেলছেন ইউজাররা।
তারপর হঠাৎ করেই কোনও বিপদের অছিলায় টাকা চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। গ্রাহক যদি প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করে তার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন তাহলেই বিপদ! সম্প্রতি এরকম একাধিক অভিযোগ পেয়ে লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করেছে।
ফেসবুক সঙ্গে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ঘেঁটে ব্যক্তির সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য বের করে ফেলা হচ্ছে। তারপর তাকে নিশানা করে তাকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে তার সঙ্গে এমনভাবে গল্প জুড়ছে প্রতারকেরা যে ওই ব্যক্তি ও বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন এই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী তার চেনা পরিচিত।
তারপরেই প্রতারকের ফাঁদে পড়ছেন ওই ব্যক্তি। লালবাজার থানার পুলিশ তদন্ত করে জানিয়েছে এই সমস্ত ক্ষেত্রে সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার, গুগোল পে, ফোন পে আইডি ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম্বারটি ভুয়ো। লালবাজার থানার কাছে এই সংক্রান্ত বহু অভিযোগ এসেছে। লালবাজার থানার সাইবারক্রাইম বিভাগ এই অভিযোগের তদন্ত করছে। শীঘ্রই এর সঙ্গে জড়িত অপরাধীরা ধরা পড়বে বলেই আশাবাদী পুলিশ। তবে পরিচয়ের সত্যতা যাচাই না করে অনলাইনে টাকা পাঠানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সাধারণকে।