সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সিস্টেমের সাথে ল’ড়া’ই’য়ে নে’মে চার দশকের পু’রা’নো ব্রিজ মে’রা’মতে তৎপর চন্দনা, নিলেন পদক্ষেপ

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফের সবথেকে গরীব প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন চন্দনা বাউরী। রাজনীতির অন্দরমহলের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীদের হারিয়ে তিনি সাংসদ পদ অর্জন করে নেন। শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষেরা চন্দনাকে ভরসা করেছেন। তার প্রতি সমর্থন উজাড় করে দিয়েছেন। তাদের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখছেন চন্দনা বাউরী। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য একের পর এক কাজ করে চলেছেন।

গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং এলাকার উন্নয়ন তার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন চন্দনা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা শুনেছেন। আবার পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সাধারণ মানুষ উপযুক্ত পরিষেবা না পেলে সে সম্পর্কে প্রশ্নও তুলেছেন। বারে বারে তার সামনে এসেছে চ্যালেঞ্জ। চন্দনার নতুন চ্যালেঞ্জ এখন বন্যা। বিগত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বেশকিছু জেলা জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতিতে নাজেহাল শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষেরা।

বানভাসি বাঁকুড়ার বেশ কিছু এলাকায় এদিন পরিদর্শনে যান চন্দনা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কোমর অব্দি জলে নেমে পড়েন তিনি। মেজিয়া মন্ডলের রামচন্দ্রপুর অঞ্চলে ব্রিজ পরিদর্শনে গিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষের দুর্দশা নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। ব্রিজের উপরেই আশেপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ নির্ভর করে থাকেন। সেই ব্রিজের দশা এখন বেহাল।

৩০ থেকে ৪০ বছর আগে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল এই ব্রিজ। তারপর থেকে একদিনও সংস্কার করা হয়নি। বারবার বিডিওকে বলেও কোন লাভ হয়নি। বন্যা পরিস্থিতিতে এমনিতেই বিপাকে পড়েছেন মানুষ। তার উপর আবার ব্রিজের বেহাল দশা হওয়াতে তাদের সমস্যা আরো বেড়েছে। বিশেষত গর্ভবতী মহিলাদের এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটা বেশ বিপদজনক। এই ব্রিজ মেরামতের জন্য সাধারণের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন চন্দনা। ব্রিজ মেরামতের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা করতে তিনি রাজি।