আচার্য চাণক্য তার নীতির জন্য পরিচিত, তিনি বিষ্ণুগুপ্ত, কৌটিল্য ইত্যাদি নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত গুণী পণ্ডিত ছিলেন। শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদও ছিলেন। নিজস্ব দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য চাণক্য সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন।
চাণক্য তার দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য অনেক নীতি তৈরি করেছিলেন। তাঁর রাজনীতি, দর্শন, জীবন সবই যেন রহস্যে মোড়া। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা ‘অর্থশাস্ত্র’ আর ‘নীতিশাস্ত্র’ নিয়ে আজও আলোচনা চলে। কারণ এই শাস্ত্রের রাজধর্ম ও রাজনীতি সংক্রান্ত বার্তাগুলির প্রাসঙ্গিকতা আজও বহাল।
জীবনে সাফল্য অর্জন করতে কে না চায়! কিন্তু সেই সাফল্য অর্জনের পথ মোটেও সহজ ব্যাপার নয়৷ জীবনে সফলতা চাইলে নানান রকমের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
চাণক্যের নীতি অনুসারে, জীবনে সফল হওয়ার জন্য মূলত দুটি উপাদান লাগে৷ চাণক্য নীতির মূল বক্তব্য, রাস্তা সহজ নয়, তাই ভয় না পেয়ে লড়াই করাই শ্রেয়। তবে লড়াই ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও দিশা নেই চাণক্য নীতিতে।
আরো পড়ুন: মিকা সিংয়ের হবু স্ত্রী কি তাঁরই গার্লফ্রেন্ড? রইলো চোখ ধাঁ’ধা’নো ছ’বি
এ প্রসঙ্গে চাণক্য বলেন, পরিশ্রম ছাড়া কখনোই উন্নতির পথ পার করা সম্ভব নয়। যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করতে পারেন, তারাই কেবলমাত্র সাফল্যের সন্ধান পান। এহেন পরিস্থিতিতে পরিশ্রমকে ভয় পেলে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জীবনে সাফল্য ধরা দেয় না।
আর এই ধরনের লোকেদের উপর ধনদেবী লক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হয় না, তাঁরা সারাজীবন অর্থের কামনাই করতে থাকেন।সুতরাং সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর একমাত্র পথ হল নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করা।
সমালোচনা একজন ব্যক্তিকে বিরক্ত করে ঠিকই, তবে সাফল্য সন্ধানীরা এই সমালোচনাকে সেরকম গুরুত্ব দেন না। এ প্রসঙ্গে চাণক্যর বাণীতে উল্লিখিত রয়েছে, লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথে, অবশ্যই একটি সময় আসবে যখন আপনার কাজের সমালোচনা হবেই।
তখন এই সমালোচনায় ভীত হলে কোনো ভাবেই সেই ব্যক্তির পক্ষে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভবপর হয় না। সমালোচনা সাফল্যের পথে এক বিরাট বড় বাধা হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু এটাকে যদি ইতিবাচক উপায়ে গ্রহণ করা যায় তাহলে সেটাই হবে জীবনে এগিয়ে চলার পথে সবচেয়ে বড় শক্তি।
সমালোচনায় উত্তেজনা সবসময় একজন ব্যক্তিকে ভুল পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে। আর আপনার প্রতিপক্ষরা সবসময় মুখিয়ে থাকেন কখন তারা এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আপনার সাফল্যের পথে কাঁটা বিছিয়ে দেবে৷ তাই সতর্ক থাকুন, এহেন ভুল করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।