অবশেষে পুরো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর অপেক্ষার পর অবশেষে পুজোর পর পরই পুরভোটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন। শনিবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর নবান্ন একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী গলাতে শোনা গেল সেই সুর।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে বিজেপি এবং সিপিএম কার্যত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। সিপিএমের অভিযোগ, রাজ্যের মানুষকে জল যন্ত্রণার মুখে ঠেলে দিয়েছে এই সরকার। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আশা দেখছেন রাজ্যের মানুষ। দীর্ঘ তিন বছর টালমাটালের পর অবশেষে পুরভোটের আয়োজন হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।
২০১৮ সালে এই রাজ্যে একাধিক পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। কাজেই সেই থেকেই পুরভোটের আয়োজন করা হয়নি পশ্চিমবঙ্গের। পুরসভা ভেঙে দিয়ে প্রশাসক এবং প্রশাসনিক বোর্ড বসানো হয়েছে। যার বিরুদ্ধে কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিরোধীরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর অবশ্য রাজ্যে পুরভোটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়।
এবার উপ নির্বাচনের পরপরই কার্যত পুর ভোট নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনিক। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে উপনির্বাচন চলছে। এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী বিধি নিষেধ লাগু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় কার্যত রাজ্যের পৌরসভা গুলি একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।