সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

EMI-তে স্মার্টফোন কিনছেন? গো’প’ন শর্তগুলি না জেনেই ফাঁ’দে পা দিচ্ছেন!

বর্তমানে অনেকেই ইএমআইতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। বিভিন্ন অনলাইন বিপণনী সংস্থাগুলি বর্তমানে এই সুযোগ দিচ্ছে গ্রাহকদের। এই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক আইটেম কিনলে 36 মাসের মধ্যে ইএমআইতে পরিশোধ করতে হয়। ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে 12 থেকে 18 শতাংশ সুদের হারে ইএমআই অফার করে থাকে বেশিরভাগ ব্যাংক।

এই পরিষেবার জন্য ইএমআই অপশন বেছে নিয়ে জিনিসপত্র কিনে থাকেন। ধরুন আপনি ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাপেল আইফোন টুয়েলভ মিনি কিনতে চাইলেন। এখন আপনি যদি 38999 টাকার বিনিময়ে ফোনটি সঙ্গে সঙ্গে তিনি না নিয়ে ইএমআই তে কিনতে চান তাহলে আপনাকে 13 শতাংশ হারে সুদে তিন মাসের ইএমআই প্ল্যান বেশি নিতে হবে। যেখানে আপনাকে প্রতি মাসে তেরো হাজার 283 টাকা দিতে হবে। এইভাবে আপনাকে মোট 39 হাজার 849 টাকার বিনিময়ে ফোনটি কিনতে হবে।

অন্যদিকে আপনি যদি 15 শতাংশ হারে 36 মাসের ইএমআই প্ল্যান নেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে মোট 48 হাজার 672 টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি অতিরিক্ত নয় হাজার 673 টাকা খরচ করবেন একটি ফোন কেনার জন্য। অনেক সময় এরকম ক্ষেত্রে আপনি নো কষ্ট ইএমআই অপশন পেয়ে থাকেন। যেটি নিঃসন্দেহে একটি ভাল বিকল্প। স্মার্টফোনের দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। তাই বেশি ইএমআই দিয়ে সেগুলি কেনা মোটেই সুবিধার নয়।

ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডিফল্ট ক্রেডিট স্কোরের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। তাই বাজেট অনুসারে স্মার্টফোন বেশি নিলেই হল। বেশি ইএমআইতে স্মার্টফোন কিনলে লোকসানের তুলনায় লাভ কিছুই হয় না।